রাশিয়ার নভগরেড এলাকায় ভেঙে পড়া ড্রোন। বুধবার এই ড্রোনের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ছবি: সংগৃহীত।
অভিযোগ আগেই তুলেছিল। এ বার ‘প্রমাণ’ দেখাল রাশিয়া। প্রকাশ্যে আনল ভিডিয়ো। ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাদের দাবি, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবনে যখন ইউক্রেন হামলার চেষ্টা করছিল, ওই ভিডিয়োটি সেই সময়েরই।
৪৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে বরফে ঘেরা একটি জঙ্গল এলাকার মধ্যে ড্রোন ভেঙে পড়ে রয়েছে। রুশ সেনার এক আধিকারিককেও দেখা যাচ্ছে ভিডিয়োয়। ভাঙা ড্রোনের বিষয়ে আঞ্চলিক ভাষায় কিছু বর্ণনাও দিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। বস্তুত, গত সোমবার রাশিয়া প্রথম অভিযোগ তোলে পুতিনের বাসভবনে ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছে ইউক্রেন। যদিও মস্কোর অভিযোগ শুরুতেই উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন। তবে মস্কোর এই দাবি আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রভাব ফেলেছে। মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
এই পরিস্থিতিতে এ বার ‘হামলার চেষ্টা প্রমাণ করতে’ ভিডিয়ো প্রকাশ করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। মস্কোর দাবি, ইউক্রেনের বাহিনী উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৬ কেজি বিস্ফোরক বহনে সক্ষম চাকলুন-ভি ড্রোন ব্যবহার করেছিল। রুশ প্রশাসনের দাবি, ওই ভিডিয়োটি নভগরেড এলাকারই। এই এলাকাতেই পুতিনের বাসভবন। তবে ওই ড্রোনটি কোন এলাকায় ভেঙে পড়ে রয়েছে, তা নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, “ইউক্রেন ইচ্ছাকৃত, পরিকল্পিত ভাবে এবং দফায় দফায় হামলার পরিকল্পনা করেছিল।”
গত সোমবার রাশিয়া অভিযোগ করেছিল, পুতিনের বাসভবনে একসঙ্গে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন দিয়ে হামলার চেষ্টা হয়েছে। যদিও রুশ সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিটি হামলাকে রুখে দিয়েছে। কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি ক্রেমলিনের। কিন্তু রাশিয়ার এই অভিযোগ মানতে নারাজ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। তিনি এই ধরনের অভিযোগকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর পাল্টা দাবি, কিভের সরকারি ভবনগুলিতে হামলা করার ‘অজুহাত’ খুঁজছে মস্কো। তাই এই ধরনের অভিযোগ করে একটি পটভূমি তৈরি করছে রাশিয়া।