Cricket

৫০ ওভার পরে নতুন বলের প্রস্তাব সচিনের

সচিন দুটো উপায়ের কথা বলছেন। এক, মোম দিয়ে পালিশ। দুই, টেস্টে ৫০ ওভারের পরে নতুন বল আনা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২০ ০৪:৫২
Share:

সচিন তেন্ডুলকর।—ছবি এএফপি।

করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে নতুন করে ক্রিকেট শুরু হওয়ার আগে একটা বড় বিতর্ক উঠেছে বল পালিশ করা নিয়ে। অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন আইসিসি ক্রিকেট কমিটি ইতিমধ্যেই থুতু দিয়ে বল পালিশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে বেশ কয়েকটি উপায়ের কথা বলেছেন সচিন তেন্ডুলকর এবং ব্রেট লি।

Advertisement

সচিনের নিজস্ব অ্যাপ ‘১০০ এমবি’-তে মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ফাস্ট বোলার লি বলেছেন, ‘‘আমরা আট-ন’ বছর বয়স থেকে বল থুতু দিয়ে পালিশ করতে অভ্যস্ত। আমাদের সে রকম করতেই বলা হয়েছিল। এখন দুম করে এই অভ্যাসটা বোলারদের পক্ষে বদলানো কঠিন। এর উপরে নজরদারি করাটাও সোজা কাজ নয়।’’ আইসিসির কাছে লি-র আবেদন, কেউ বলে একবার থুতু লাগালে যেন তাঁকে শাস্তি না দেওয়া হয়।

কুম্বলের কমিটি থুতুর বিকল্প হিসেবে ঘাম ব্যবহারের কথা বলেছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে বলে মনে করেন লি, সচিন। লি-র সঙ্গে আলাপচারিতায় মাস্টার ব্লাস্টার বলেছেন, ‘‘ঠান্ডার দেশে তো ঘাম হয় না। সেখানে কী হবে?’’ উদাহরণ হিসেবে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নিউজ়িল্যান্ডের নাম করেছেন সচিন। তাঁর সঙ্গে সহমত লি-ও। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন পেসারের মতে, ‘‘ঠান্ডার দেশে এই নিয়মে বোলারদের কোনও লাভই হবে না।’’ আইসিসির কাছে লি-র আবেদন, ‘‘থুতু দিয়ে বল পালিশ না করা গেলে এমন একটা কোনও পদার্থ বার করতে হবে যা ব্যবহার করা যাবে। যাতে করে বোলাররাও খুশি হবে, ব্যাটসম্যানরাও। কারও কোনও সমস্যা থাকবে না।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনা পরীক্ষা করে নিভৃতবাসে হোল্ডাররা

তাঁর কাউন্টি জীবনের প্রসঙ্গ টেনে সচিন বলেছেন, ‘‘১৯৯২ সালে ইয়র্কশায়ারের হয়ে কাউন্টি খেলতাম আমি। মে মাসের শুরুর দিকে ওখানে গিয়েছিলাম। সব কিছু ঠান্ডায় জমে যাচ্ছিল। হোভে একটা ম্যাচের কথা ভুলব না। পাঁচটা সোয়েটার চাপিয়েছিলাম।’’

এই পরিস্থিতিতে সব চেয়ে সমস্যায় পড়েছেন বোলাররা। তা হলে রাস্তা কী? সচিন দুটো উপায়ের কথা বলছেন। এক, মোম দিয়ে পালিশ। দুই, টেস্টে ৫০ ওভারের পরে নতুন বল আনা। আইসিসি-কে সচিনের পরামর্শ, ‘‘একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের ওজনের মোম প্রতি ইনিংসে ফিল্ডিং দলকে দেওয়া হোক বল পালিশ করার জন্য।’’ সচিনের দ্বিতীয় পরামর্শ, টেস্টে ৫০ ওভারের পরে নতুন বল আনা। সে ক্ষেত্রে অনেকটা বেশি সময় নতুন বলের সাহায্য পাবেন পেসাররা। এখন ৮০ ওভারের পরে নতুন বল আনা যায়।

আরও পড়ুন: আসছে কোভিড পরিবর্ত, বলে দিল আইসিসি

তবে লি মনে করেন, যদি সুরক্ষিত পরিবেশে খেলা হয়, তা হলে নিয়ম বদলের দরকার হবে কেন? অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন পেসার বলেছেন, ‘‘খেলা শুরুর দু’ঘণ্টা আগে ক্রিকেটারদের পরীক্ষা করা হোক। ওরা তো সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকছেই। তা হলে যদি পরীক্ষায় কিছু না পাওয়া যায়, তা হলে সমস্যা কোথায়? সে ক্ষেত্রে পুরনো নিয়মই বহাল রাখা যেতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন