গত এপ্রিল মাসে জেলা সফরে এসে শালবনি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে দু’মাস পেরোতে চললেও এখনও পূর্ত দফতর থেকে ক্রীড়া দফতরের হাতে স্টেডিয়াম হস্তান্তর হয়নি। ফল, এখনও স্থানীয় ছেলেমেয়েদের খেলাধুলোর জন্য চালু হয়নি স্টেডিয়াম।
প্রায় ৫ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শালবনির ৬ নম্বর ভীমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়মাতে ১৩.৪ একর জায়গায় গড়ে উঠেছে এই স্টেডিয়াম। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ৭০ মিটার চওড়া ও ১১০ মিটার দীর্ঘ মাঠ তৈরি করা হয়েছে। মাঠ সবুজ রাখার জন্য বসানো হয়েছে ‘মেক্সিকান’ ঘাস। শুধু ফুটবল বা ক্রিকেট নয়, মাঠের পাশে তৈরি হয়েছে ৬টি ট্র্যাকও। এই ট্র্যাকে জঙ্গলমহলের ছেলেমেয়েরা দৌড়ও অনুশীলন করতে পারবে।
এ ছাড়াও পোলো, ভলিবল, লং জাম্প, হাই জাম্প, ট্রিপল জাম্প অনুশীলনেরও ব্যবস্থা রয়েছে স্টেডিয়ামে। রয়েছে শর্টপাট, ডিসকাস ও জ্যাভলিন ছোঁড়ার জায়গাও। রাতে খেলার জন্য হাই-মাস্ট লাইট লাগানো হয়েছে। মাঠে বসে খেলা দেখার জন্য স্টেডিয়ামে পশ্চিম দিকে একটি গ্যালারি তৈরি হয়েছে। এখানে দু’হাজার দর্শক বসে খেলা দেখতে পারবেন। এ ছাড়াও অতিথিদের জন্য ২৫ আসনের ভিআইপি গ্যালারিও আছে। খেলোয়াডদের জন্য রয়েছে দু’টি চেঞ্জিং রুম। ওয়াশ রুম।
গত ২৩ মার্চ রাজ্য ক্রীড়া দফতরের আধিকারিকরা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন। ছোটখাটো কিছু কাজের পরামর্শও দিয়ে যান তাঁরা। যদিও খেলা শুরু না হওয়ায় স্টেডিয়ামের চারিদিকে গজিয়ে উঠেছে আগাছা, ঘাস। পূর্ত দফতরের সোশ্যাল সেক্টরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার মুকুল মাজেথিয়া বলেন, ‘‘স্টেডিয়াম তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই স্টেডিয়ামটি ক্রীড়া দফতরের হাতে হস্তান্তর করা হবে।’’ ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের জেলা আধিকারিক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, ‘‘এ নিয়ে আমার কাছে কোনও নথি এলে রাজ্য দফতরে পাঠিয়ে দেব।’’