আজও ফাঁকা মাঠ তো কী! ফের সেখানেই ইস্টবেঙ্গলের সামনে হাজির দ্বিতীয় লাইফলাইন! আই লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ লড়াইয়ে টিকে থাকতে র্যান্টি-ডুডুদের সালগাওকরকে যে হারাতেই হবে।
পুলিশি ফতোয়ায় সম্পূর্ণ দর্শকহীন যুবভারতীতে আগের ম্যাচেই মুম্বই এফসির সঙ্গে ড্র করার পরে লাল-হলুদের খেতাব জেতার এখনও ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাতে রয়েছে অনেক জটিল অঙ্কও। পয়েন্ট তালিকায় প্রথম সারির টিমগুলোকে যেমন পয়েন্ট নষ্ট করতে হবে, তেমনই ইস্টবেঙ্গলকে কার্যত বাকি সব ম্যাচ জিততে হবে। অঙ্কই বলছে, বুধবার গোয়ান ক্লাবের বিরুদ্ধে না জিতলে কার্যত আশা শেষ।
সালগাওকরের কাছে প্রথম পর্বে ১-৩ হারের সময় ইস্টবেঙ্গল কোচ ছিলেন আর্মান্দো কোলাসো। ফিরতি ম্যাচের আগে এলকো সতৌরির লাল-হলুদে কোনও চোট সমস্যা নেই। একই সঙ্গে ঘরের মাঠে ডাচ কোচ যে সালগাওকরের মুখোমুখি হবেন তারা একেবারেই ভাঙাচোরা। প্রধান স্ট্রাইকার ড্যারেল ডাফি সুস্থ নন। চোট সমস্যায় ডেরেক পেরিরা পাচ্ছেন না তাঁর নিয়মিত মিডফিল্ডার গিলবার্টকে। অন্যতম ডিফেন্ডার জাম্বিয়ার ফ্রান্সিসও কার্ড সমস্যায় নেই। শেষ তিন ম্যাচে জয় পায়নি সালগাওকর। মানসিক ভাবেও কিছুটা গুটিয়ে থাকার সম্ভাবনা সুব্রত পালদের। এলকো তার ফুটবলারদের বলেছেন, ‘‘ওরা এই মুহূর্তে বিধ্বস্ত। সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে।’’
তবে জয় পেতে দুই কোচই প্রধান বাধা ধরছেন বিপক্ষের বিদেশিদের। অনুশীলন দেখে মনে হল তাঁদের আটকেই বাজিমাত করতে চাইছেন তাঁরা। ইস্টবেঙ্গল ডুহু পিয়ের আর ড্যারেল ডাফিকে আটকানোর স্ট্র্যাটেজি তৈরি করল বিকেলের অনুশীলনে। সালগাওকর আবার র্যান্টি-ডুডু জুটিকে আটকানোর জন্য ডিফেন্সকে আরও জমাট করার চেষ্টা করল সকালের প্র্যাক্টিসে।
এক দিকে কোনও রাখঢাক না রেখে সাংবাদিক সম্মেলনে এলকো বললেন, ‘‘ডাফি হল এখন ভারতে খেলা বিদেশিদের মধ্যে সেরা অলরাউন্ড স্ট্রাইকার। আর ওদের মাঝমাঠ শক্তিশালী ডুহুর জন্য।’’ ডেরেকের আবার দুশ্চিন্তা ডুডুদের গোলের মধ্যে থাকাটা। বললেন, ‘‘র্যান্টি আর ডুডু দারুণ স্ট্রাইকার।’’
সালগাওকরের শেষ তিন ম্যাচের সিডি নাকি খুটিয়ে দেখেছেন এলকো। এ দিন আবার গোয়ান দলের ডিফেন্সে ফ্রান্সিসও থাকছেন না। ‘অক্সিজেন’ স্বল্পতায় ভোগা সালগাওকরের বিরুদ্ধে র্যান্টিরা বদলা নিতে পারেন কি না সেটাই দেখার।
বুধবার আই লিগে
ইস্টবেঙ্গল: সালগাওকর (যুবভারতী, ৪-৩০)