সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সানিয়ার পোস্ট নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু বিতর্ক। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
ট্রোলড হলেন সানিয়া মির্জা। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি-হানার প্রতিবাদ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করেছিলেন তিনি। কিন্তু, তাতে কেন পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়নি, এই যুক্তি খাড়া করে সানিয়ার সমালোচনা মেতে উঠেছেন নেটদুনিয়ার নাগরিকরা।।
সন্ত্রাসবাদকে ধিক্কার জানিয়ে লম্বা টুইট করেছিলেন সানিয়া মির্জা। যার মূল বক্তব্য ছিল যে সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদ যাঁরা ছড়ায়, তাঁদের বিরুদ্ধে তিনি। কিন্তু, তার পরও শান্তির জন্যই প্রার্থনা করার কথা জানান তিনি। বাকিদেরও যে ঘৃণা না ছড়িয়ে শান্তি কামনা করা উচিত, সেটাও লেখেন তিনি। কিন্তু, তা ভাল ভাবে নেওয়া হয়নি সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অনেকেই সানিয়ার বক্তব্যের মূল সুর ধরতে না পেরে তাঁকে খোঁচা দেন। সানিয়ার স্বামী শোয়েব মালিক পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার। সেই প্রসঙ্গ নেপথ্য রেখে সানিয়া কেন সন্ত্রাসবাদের প্রশ্রয়দাতা হিসেবে পাকিস্তানের নাম একবারও উল্লেখ করেননি, তা নিয়ে মন্তব্য করতে থাকেন অনেকে। কেউ লেখেন, পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদের ফ্যাক্টরি, তা নিয়ে কেন নিশ্চুপ থাকলেন সানিয়া। কেউ লেখেন, জঙ্গি হানার নেপথ্যে পাকিস্তানের সাহায্য নিয়ে কেন একটা শব্দও লেখেননি সানিয়া। পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করলে এই পোস্ট দুর্দান্ত হতো, পরামর্শও দেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন: ইমরানের ছবি ঢেকে রাখার নিন্দা করে বিবৃতি দিল পিসিবি
আরও পড়ুন: টুইটারেই সরব কেন হতে হবে, সওয়াল সানিয়ার
ছয় বারের গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী সানিয়াকে অবশ্য এমন পরিস্থিতিতে আগেও পড়তে হয়েছে। গত বছর এশিয়া কাপের সময় তিতিবিরক্ত হয়ে সানিয়া বেশ কিছুদিন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে সরে থাকার ঘোষণাও করেছিলেন। স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়েও অতীতে খোঁচার মুখে পড়েছিলেন হায়দরাবাদি টেনিস তারকা। শোয়েব-সানিয়ার সন্তানের জাতীয়তাবোধ নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)