কলম্বোর ‘ডুবোজাহাজ’ নিয়ে সতর্ক সঞ্জয়

বিদেশের মাঠে সবুজ-মেরুনের লড়াইটা এ বার শুধুই হলুদ ব্রিগেডের সঙ্গে। কলম্বো রেসকোর্স মাঠে লড়াই পালতোলা নৌকো বনাম ডুবো জাহাজের মধ্যে। লড়াই শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব বনাম মাত্র আট বছর বয়সের একেবারে শিশু ক্লাবের মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:০৯
Share:

শ্রীলঙ্কার চ্যালেঞ্জ। কলম্বো এফসির বিরুদ্ধে নামার আগে দলকে পেপটক দিচ্ছেন মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন। -নিজস্ব চিত্র

বিদেশের মাঠে সবুজ-মেরুনের লড়াইটা এ বার শুধুই হলুদ ব্রিগেডের সঙ্গে।

Advertisement

কলম্বো রেসকোর্স মাঠে লড়াই পালতোলা নৌকো বনাম ডুবো জাহাজের মধ্যে।

লড়াই শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব বনাম মাত্র আট বছর বয়সের একেবারে শিশু ক্লাবের মধ্যে।

Advertisement

লড়াইটা অন্য ভাবে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কারও।

আজ মঙ্গলবার এএফসি কাপের গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচে ভারতের মোহনবাগান মুখোমুখি হচ্ছে শ্রীলঙ্কার কলম্বো এফসি-র। যাদের সমর্থকরা আদর করে ডাকেন ‘ইয়েলো সাবমেরিন’ বা ‘হলুদ ডুবোজাহাজ’ বলে। ডুবোজাহাজ যুদ্ধক্ষেত্রে বরাবরই বড় ভূমিকা নিয়ে থাকে জেতার জন্য। যে কোনও ধরনের নৌকোকে অনায়াস ডুবিয়ে দেওয়া কোনও বিষয়ই নয় তাদের কাছে। কিন্তু বাগানের নৌকো যে ভাবে টিমগেমকে সম্বল করে আই লিগে ভেসে রয়েছে তাতে তাদের সমস্যায় ফেলা মুশকিল। সবুজ-মেরুনের কোচ সঞ্জয় সেন অবশ্য কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। বলে দিয়েছেন, ‘‘আমরা নতুন একটা টুর্নামেন্টে খেলতে নামছি। নতুন চ্যালেঞ্জ জেতার জন্যই নামব আমরা।’’

তবে কলম্বো এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে মোহনবাগানের কিছু সমস্যা রয়েছে। তার একটা হল, আই লিগের ফোকাস থেকে তিন-চার দিনের মধ্যে পুরোপুরি নিজেদের বের করে আনার দুরূহ কাজটা করতে হবে। যেটা সহজ কাজ নয়। তার উপর আবার টিমের অন্যতম তারকা সনি নর্ডি চোটের জন্য যেতে পারেননি। একই কারণে বাগান কোচ সঞ্জয় সেন নিয়ে যাননি নতুন আসা ডিফেন্ডার এডুয়ার্ডো ফেরেরাকে। ম্যাচের আগের দিন সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে সঞ্জয় বলেছেন, ‘‘আমরা যাদের বিরুদ্ধে খেলতে নামছি তারা একেবারে নতুন। অজানা। তা ছাড়া অ্যাওয়ে ম্যাচের লড়াই সব সময়ই কঠিন হয়।’’

কলম্বো এফসি এ বার প্রথম এএফসি কাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে। গত বছরই শ্রীলঙ্কার প্রিমিয়ার ডিভিশনের লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই টিমটির পারফরম্যান্সের গ্রাফটা উপরের দিকেই উঠেছে। এ বছরও চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটেতে জিতেছে তারা। বাগানের কাছে সে রকমই খবর। কাতসুমি অধিনায়ক হলেও এ দিন বাগান কোচের সঙ্গে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন শিল্টন পাল। বলেছেন, ‘‘আমরা সতর্ক থাকব ঠিকই, তবে নিজেদের খেলাটাই খেলব কলম্বো এফসি-র বিরুদ্ধে। কলম্বো থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফেরাটাই একমাত্র লক্ষ্য।’’ লঙ্কার এই টিমে নাইজেরিয়ার একজন মিডিও রয়েছেন। নাম মোমাস ইয়াপো। যাঁকে নিয়ে বিপক্ষ টিম যথেষ্ট সতর্ক থাকে। তিন বিদেশির তিন জনই অবশ্য নাইজিরিয়ার। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কারই জারওয়ান জোহার নামের এক স্ট্রাইকার রয়েছেন, যিনি মাঝে মধ্যেই ডিফেন্ডারদের সমস্যায় ফেলে থাকেন।

এমনিতে গরম হলেও সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি নামছে কলম্বোয়। তবে এএফসি ম্যাচ নিয়ে তেমন প্রচার নেই। হাজার দু’য়েক সমর্থক হয়তো আসবেন মাঠে। মাঠটা অবশ্য বেশ ভাল। ঘাসেরও। সঞ্জয় ঠিক করেছেন, একজন স্ট্রাইকারে টিম নামাবেন। ড্যারেল ডাফিকে সামনে রেখে। লক্ষ্য একটাই অপরাজিত থেকে ফের আই লিগের ম্যাচ খেলতে রবীন্দ্র সরোবরে ফেরা।

মঙ্গলবারে: এএফসি কাপ
মোহনবাগান: কলম্বো এফ সি (কলম্বো ৪-৩০)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement