সমুদ্রতীরের ক্লাব সালগাওকরকে হারানোর বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যেই পাহাড় অভিযানে নামতে হচ্ছে সনি নর্ডিদের। যার আগে দু’টো বিষয় মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেনের কপালের বলিরেখাকে আরও চওড়া করছে।
এক) শিলং লাজংয়ের ফরোয়ার্ড লাইনের চমকপ্রদ ছন্দে থাকা।
দুই) বাগানের ডিফেন্স এবং গোলকিপারের পারফরম্যান্স চলতি ফে়ড কাপে মোটেই সন্তোষজনক নয়।
শুক্রবার বেশ চিন্তিত গলায় সঞ্জয় বললেন, ‘‘ওদের স্ট্রাইকাররা খুব ভাল ফর্মে রয়েছে। আর আমাদের ডিফেন্সের কিছু ভুলভ্রান্তি হচ্ছে। গোলকিপারও বোধহয় একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছে। সে জন্য ভুল করে ফেলছে। এই জায়গাটাও মেরামত করতে হবে।’’
যে লাজং ইস্টবেঙ্গলের মতো হেভিওয়েটকে পেড়ে ফেলে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে তাদের এখন সমীহ না করে উপায় নেই কোনও বিপক্ষেরই। ফ্যাবিও পেনা, উইলিয়ামসরা তো অর্ণব-র্যান্টিদের বিরুদ্ধে শুধু গোলই করেননি, দাপটের সঙ্গে খেলেছেন হোম-অ্যাওয়ে দু’পর্বেই। ছন্দে থাকা সেই প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে সঞ্জয় চাইছেন, রবিবার ঘরের মাঠে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে থাকতে। যাতে শিলংয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নামার আগে অ্যাডভান্টেজ পজিশনে থাকে বাগান।
এ বছর আই লিগে আবার লাজংয়ের বিরুদ্ধে দু’বারই জিততে পারেননি কাতসুমি-গ্লেনরা। দু’বারই ড্র হয়েছিল। স্বভাবতই লাজং যে এখন কলকাতার দুই প্রধানের মারাত্মক গাঁট সেটা অস্বীকারের কোনও জায়গা নেই। সনিদের কোচও তাই বলছিলেন, ‘‘ওরা ভাল টিম। বারবার আমাদের আটকে দিয়েছে। তবে এ বার আমরা দু’টো ম্যাচই জিতে ফাইনালে উঠতে চাই। ফেড কাপ না পেলে তো সব লড়াই-ই বৃথা হয়ে যাবে।’’
চব্বিশ ঘণ্টা আগে সালগাওকরকে হারানোর পিছনে আসল কারিগর যিনি, সেই সনি নর্ডিও তো ফেড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তবেই দেশে ফিরতে চান। ২৯ মে হামেস রদ্রিগেজের কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে দেশের জার্সিতে খেলবেন সনি। কলম্বিয়া-হাইতি প্রদর্শনী ম্যাচ রয়েছে সে দিন। সালগাওকরকে হারানোর পরই সনি বলেছিলেন, ‘‘দেশের হয়ে সাফল্য পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার আগে ক্লাবকে ট্রফি দিয়ে যেতে চাই। ফেড কাপ আমাদের শেষ সুযোগ।’’ এ দিকে জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে ২৪ মে এএফসি কাপ প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে বাগানের জার্সিতে শহরে খেলে তবেই নিজের দেশে ফিরবেন সনি, এমনটাই ক্লাব সূত্রের খবর।