প্রয়াত ক্রিকেটার অঙ্কিত কেশরীর পরিবারকে বোর্ড থেকে প্রাপ্ত পেনশন দিয়ে দিচ্ছেন তিনি। এক-আধ মাস নয়, দিয়ে দিচ্ছেন এক বছরের পেনশন।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় দিয়ে দিচ্ছেন।
অঙ্কিতের প্রয়াণের দিন শহরে থাকতে পারেননি ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। খবরটা পেয়েছিলেন যখন, ততক্ষণে নয়াদিল্লিতে নেমে পড়েছিলেন আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে। শহরে ফিরে আসার পর এ বার অঙ্কিতের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সৌরভ। দাঁড়ালেন মহৎ উদ্যোগ নিয়ে।
শুক্রবার সিএবিতে ফিনান্স কমিটির বৈঠক ছিল। সিএবি যেখানে ঠিক করে ফেলল যে, অঙ্কিতের পরিবারকে সংস্থার পক্ষ থেকে দশ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। তার পরই সিএবি যুগ্ম সচিব সৌরভ জানিয়ে দেন যে, ব্যক্তিগত ভাবে তিনি প্রয়াত অঙ্কিতের জন্য নিজের এক বছরের পেনশন তাঁর পরিবারকে দিয়ে দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, এটাও সঙ্গে বলে দিলেন যে ভবিষ্যতে অঙ্কিতের মতো দুর্ঘটনা যাতে আটকানো যায়, সে কারণে গোটা জীবনের পেনশনই ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি! সিএবিতে বলেও দিলেন, ‘‘আমি অঙ্কিতের পরিবারকে এক বছরের পেনশন দিয়ে দিচ্ছি। বাকি পেনশন ফান্ডে জমা হবে।’’
পরিকল্পনার খসড়াটা কী?
ধারণাটা এ রকম— সিএবিতে পরের বছর থেকে একটা আলাদা ফান্ড তৈরি হবে। যেখানে প্রত্যেক মাসে সৌরভের পেনশন জমা পড়তে থাকবে। ভবিষ্যতে যদি কোনও ক্রিকেটার অসুস্থ হন, বা দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তা হলে তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ দেওয়া হবে এই ফান্ডেরই জমানো টাকা থেকে। আরও বলা হচ্ছে, প্রচুর দুঃস্থ প্লেয়ার থাকেন যাঁদের চিকিৎসার খরচ জোগাড় করা সম্ভবই হয় না। সৌরভের এই ফান্ড হয়ে গেলে সেটা আর হবে না।
আরও একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে সিএবির তরফ থেকে। সেটা হল, ক্রিকেটারদের বিমা করানো। ধারণাটা হল, যে কোনও ক্রিকেটার ময়দানের কোনও ক্লাবের রেজিস্টার্ড প্লেয়ার হলেই আগামী বছর থেকে তাঁর বিমা করানো হবে। মনে করা হচ্ছে, অঙ্কিত ইস্টবেঙ্গলের মতো প্রথম সারির ক্লাবের প্লেয়ার ছিলেন বলে তাঁর চিকিৎসার খরচ নিয়ে অসুবিধেয় পড়তে হয়নি। কিন্তু এমন প্রচুর ক্রিকেটার ময়দানে আছেন, যাঁরা ছোট ক্লাবে খেলেন। যে ক্লাবগুলোর পক্ষে সম্ভব হয় না কোনও ক্রিকেটার বিপদে পড়লে তাকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করা। বিমা থাকলে সেটাও হবে না।