East Bengal

SC East Bengal: ডামাডোলের ইস্টবেঙ্গল, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে পারে বিনিয়োগকারী সংস্থা

চুক্তি জটিলতা মেটাতে শুক্রবার ফের ইস্টবেঙ্গলকে চিঠি দিল বিনিয়োগকারী সংস্থা। যদিও এতে ক্লাবের সুর নরম হচ্ছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২১ ২২:৪৩
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্ত হতে পারেন বিনিয়োগকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরি মোহন বাঙ্গুর।

আগামী ফুটবল মরসুম শুরু হওয়ার আগে চুক্তি জটিলতা মেটাতে শুক্রবার ফের ইস্টবেঙ্গলকে চিঠি দিল বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট। সেখানে ক্লাবকে সই করার কোনও সময়সীমা বেধে না দিলেও শ্রী সিমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরি মোহন বাঙ্গুর স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন চুক্তি জটিলতা না মিটলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন। যদিও এতে ক্লাবের সুর নরম হচ্ছে না। চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে লাল-হলুদের কর্তা দেবব্রত সরকার পাল্টা অভিযোগ করলেন ক্লাব কর্তাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে চুক্তি ভঙ্গ করতে চাইছে বিনিয়োগকারীরা।

Advertisement

ক্লাবকে চিঠি দেওয়ার পর দুবাই থেকে আনন্দবাজার ডিজিটালকে হরি মোহন বাঙ্গুর বলেন, “এই চিঠির দুটো ভাগ রয়েছে। প্রথম) সময় বেশি নেই। তাই ক্লাব যেন যাবতীয় জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত চুক্তিপত্রে সই করে। তবেই দল গঠনের কাজ আরম্ভ করতে পারব। দুই) ক্লাব বারবার বলছে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত চুক্তির মধ্যে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। কিন্তু কোথায় অমিল রয়েছে, সেটা ক্লাবের জানানো উচিত। কারণ আমার মতে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে সই হওয়া প্রাথমিক চুক্তিপত্র এবং এই চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। তাই আমি পুরনো অবস্থানে অনড় আছি। সেটা মেনে চুক্তি করলে ক্লাবকে সব রকমের সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত।”

হরি মোহন বাঙ্গুর স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদ হলে বিদায় নেওয়ার আগে পুরো ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে যাবেন। তিনি যোগ করেন, “এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। কারণ করোনা ও ইয়াস মোকাবিলায় তিনি খুবই ব্যস্ত। তাই এই বিষয়ে কথা বলার এটা সঠিক সময় নয়। আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করি। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তো মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতেই হবে। ওঁর উদ্যোগেই আমাদের পথ চলা শুরু হয়েছিল।”

Advertisement

লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কর বললেন, “দুটি চুক্তিপত্রের মধ্যে কোথায় কোথায় অমিল রয়েছে, সেটা ক্লাব আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছে। ওরা বলছে আমরা সেটা বলিনি। এই বিতর্ক আর কত দিন চলবে? আমরা এর শেষ চাই বলেই বারবার চিঠি দিচ্ছি। ওঁরা তো বসতেই চাইছেন না। তবে কি অজুহাত দেখিয়ে বিদায় নিতে চাইছেন? গত মরসুমে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কি ক্লাব কর্তাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিচ্ছেদ চাইছেন?”

গত ২৬ মে আনন্দবাজার ডিজিটালকে বাঙ্গুর জানিয়েছিলেন, তাঁরা তিন-চার দিনের বেশি অপেক্ষা করবেন না। কিন্তু শুক্রবার ক্লাবকে পাঠানো চিঠিতে কেন সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল না? বাঙ্গুরের জবাব, “এমনিই নিয়ম অনুযায়ী ৩১ মে-র মধ্যে সই করতে হবে। তার মধ্যে ক্লাব কর্তারা চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই না করলে আগামী আইএসএল-এ দল নামানো যাবে না। ফুটবলারদের ছেড়ে দেওয়া হবে। এফএসডিএল বর্তমান পরিস্থিতি জানে। তখন তাদের সরকারী ভাবে বিচ্ছেদের ব্যাপারটা জানিয়েও দেব। এফএসডিএল তো আমাদের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন