এক ফ্রেমে সেরিনা উইলিয়ামস (বাঁ দিকে) এবং মারিয়া শারাপোভা। ছবি: রয়টার্স।
টেনিস কোর্টে নামলেই তাঁরা একে অপরের শত্রু হয়ে যেতেন। যত বছর খেলেছেন, তত বছরই তাঁদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মুখোমুখি সাক্ষাতে যতই এক জন ২০-২ ব্যবধানে এগিয়ে থাকুন। সেই মারিয়া শারাপোভাকে আন্তর্জাতিক টেনিসের হল অফ ফেমে স্বাগত জানালেন এক সময়ের শত্রু সেরিনা উইলিয়ামস। জানালেন, শারাপোভা তাঁর বোনও হতে পারতেন।
শারাপোভাকে স্বাগত জানিয়ে সেরিনা তুলে ধরেছেন তাঁদের পুরনো শত্রুতার কথা। তেমনই দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে যে পারস্পরিক সমীহ বরাবরই ছিল সেটাও বলেছেন।
সেরিনার কথায়, “শারাপোভাকে দেখলে আমার খুব ভিনাসের (দিদি) কথা মনে পড়ে। যত ওকে দেখি তত ভাবি আমাদের মধ্যে মিল কোথায় এবং ভবিষ্যতে একসঙ্গে কী করতে পারি। মারিয়া সৎ, নির্দিষ্ট করে কথা বলতে পারে, দায়বদ্ধ, পারিবারিক এবং সবচেয়ে বড় কথা, একজন সুন্দর মানুষ। যদি ওকে আরও বেশি জানতে পারতাম, তা হলে শারাপোভা হয়তো আমার বোন হয়ে যেত।”
সেরিনা আরও বলেছেন, “আমি এবং মারিয়া একে অপরের ভয়ঙ্কর শত্রু ছিলাম। দু’জনের পার্থক্য ছিল। কিন্তু লোকে যে ভাবে ভাবত আমরা একে অপরের থেকে শত শত মাইল দূরে বাস করি, বিষয়টা তেমনও ছিল না। আমরা দু’জনে একই জিনিস একই সময়ে চাইতাম— বিশ্বের সেরা হতে। আমাদের খেলায় মাত্র একজনই ট্রফি জিততে পারি। সেরা হতে কে না চায়?”
শারাপোভা প্রত্যুত্তরে বলেন, “তোমার মতো মানুষের থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়া উপরহারের সমান। আমার সেরাটা বার করে আনার জন্য সারাজীবন তোমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।”
২০০৪-এর উইম্বলডন ফাইনালে ১৭ বছরের শারাপোভা হারিয়ে দিয়েছিলেন সেরিনাকে, যা টেনিসের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অঘটন। সে বছর ডব্লিউটিএ ফাইনালসেও হারান। তার পর থেকে শারাপোভাকে টানা ২০ বার হারিয়েছেন সেরিনা।