প্রথম উইকেটে ৩৬৫ তুলে বিশ্বরেকর্ড ক্যারিবিয়ানদের

ওয়ান ডে-তে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির রেকর্ড গড়ে ফেললেন শেই হোপ ও জন ক্যাম্পবেল। ৩৬৫ রান তুললেন তাঁরা। ১৩৭ বলে ১৭৯ রান বাঁ হাতি ওপেনার ক্যাম্পবেলের।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৯ ০১:৪৪
Share:

নজির: জন ক্যাম্পবেল এবং শেই হোপ (ডান দিকে)। রবিবার ডাবলিনে এই জুটিই গড়ল নতুন কীর্তি। টুইটার

বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই বিশ্বরেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে।

Advertisement

ওয়ান ডে-তে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির রেকর্ড গড়ে ফেললেন শেই হোপ ও জন ক্যাম্পবেল। ৩৬৫ রান তুললেন তাঁরা। ১৩৭ বলে ১৭৯ রান বাঁ হাতি ওপেনার ক্যাম্পবেলের। ১৫২ বলে ১৭০ রান করেন হোপ। এই ওপেনিং জুটির দাপটেই ৫০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ৩৮১ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এত দিন পর্যন্ত ওয়ান ডে-তে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের ইমাম উল হক ও ফখর জমান জুটির দখলে। জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৩০৪ রান তুলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু রবিবার ডাবলিনে অনায়াসে সে রেকর্ড ভেঙে দেয় হোপ-ক্যাম্পবেল জুটি।

Advertisement

ওয়ান ডে-তে সর্বকালের যে কোনও উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও এ দিন ভেঙে দিতে পারতেন হোপ ও ক্যাম্পবেল। মাত্র পাঁচ রান পিছিয়ে রইলেন তাঁরা। অল্পের জন্য রক্ষা পেল ২০১৫ বিশ্বকাপে জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় উইকেটে ক্রিস গেল ও মার্লন স্যামুয়েলসের তোলা ৩৭২ রান। যদিও সচিন তেন্ডুলকর ও রাহুল দ্রাবিড়ের ৩৩১ রানের রেকর্ডও এ দিন ভেঙে দিয়েছেন হোপ ও ক্যাম্পবেল। ১৯৯৯ সালে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই রান তুলেছিলেন সচিন ও দ্রাবিড়। ম্লান হয়ে গিয়েছে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টনটনে দ্বিতীয় উইকেটে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাহুল দ্রাবিড় জুটির তোলা ৩১৮ রানও। সেই তালিকার দুই নম্বরে উঠে এল হোপ এবং ক্যাম্পবেলের এই কীর্তি। ক্যাম্পবেল বলেছেন, ‘‘প্রথম বার নিজের জন্য গর্ব হচ্ছে। ওয়ান ডে-তে আমার প্রথম সেঞ্চুরি। সেটা যে বিশেষ হয়ে উঠবে তা ভাবতেও পারিনি।’’

এখনও পর্যন্ত চারটি ওয়ান ডে খেলেছেন ক্যাম্পবেল। কিন্তু কোনও হাফসেঞ্চুরি নেই। গত মার্চে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে অভিষেক হয় তাঁর। সে ম্যাচে করেছিলেন ৪১ রান। কিন্তু পঞ্চম ওয়ান ডে-র এই ইনিংস তাঁর জীবন হয়তো বদলে দিতে পারে।

ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ

শেই হোপ ও জন ক্যাম্পবেল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)। ৩৬৫ রান। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড।
ইমাম উল হক ও ফখর জমান (পাকিস্তান)। ৩০৪ রান।
প্রতিপক্ষ জ়িম্বাবোয়ে।

সনৎ জয়সূর্য ও উপুল থরঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)। ২৮৬ রান)।
প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।

ট্র্যাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)। ২৮৪। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।
হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি’কক (দক্ষিণ আফ্রিকা)। ২৮২ রান। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ।

কী ভাবে এই কীর্তি গড়লেন তাঁরা? ক্যাম্পবেলের উত্তর, ‘‘শেইয়ের সঙ্গে সব সময়েই ব্যাটিং উপভোগ করি। সে রকম পরিকল্পনা নিয়ে নামিনি। শুরুর দিকে বেশ মন্থর গতিতে এগোচ্ছিলাম। কিন্তু ইনিংস যত গড়িয়েছে, পিচ তত সহজ হয়ে গিয়েছে ব্যাটসম্যানদের জন্য।’’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেই হোপের অভিজ্ঞতাও খুব একটা বেশি নয়। ২০১৬-তে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। বর্তমানে ৪৮ ম্যাচ খেলে তাঁর রান ১৯৪৭। পাঁচটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে আটটি হাফসেঞ্চুরি। শেই হোপ বলেছেন, ‘‘সেরা ইনিংস বলা যেতে পারে। এ ধরনের ইনিংস খেলার পরে অনুভূতি বিশেষ ধরনের হয়ে থাকে। সঙ্গে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ধারণাই ছিল না যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রথম ১০০০ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় আমার গড় সব চেয়ে ভাল।’’

বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে এই সিরিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপ দলের আটজন ক্রিকেটার সিরিজে রয়েছেন। হোপ বিশ্বকাপ খেললেও, সুযোগ পাননি ক্যাম্পবেল। বিশ্বকাপে ওপেনার হিসেবে ক্যাম্পবেলের পরিবর্তে খেলবেন গেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন