শামি-উমেশকে খেলানো উচিত, রাহুল কেন বাদ?

অতীতে ভারতে এসে ওদের ব্যাটসম্যানদের পেস বোলিংয়ের বিরুদ্ধে শক্তিশালী দেখিয়েছে। কিন্তু স্পিনারদের বিরুদ্ধে ভেঙে পড়েছে।

Advertisement

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৫৬
Share:

নজরে: নামছেন ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতে। প্রস্তুতি রোহিতের। ছবি: এএফপি

আরও একটি নতুন সিরিজের শুরু। এবং, একেবারেই অবাক হওয়ার নেই যে, ভারতই আবার ফেভারিট হিসেবে শুরু করছে।

Advertisement

গত দেড় বছর ধরে দারুণ দৌড়চ্ছে ভারতের এই দলটা। চলতি বছরের বাকি সময়টাও সেই দৌড় না চলার কোনও কারণ দেখছি না। গত বছর ভারতে এসে টেস্ট সিরিজে উড়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তবে আমি মনে করি, ওয়ান ডে ক্রিকেটে ওদের ভাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা বেশি। এ বার ভারত সফরে এসে কিন্তু শুরুটা ওরা খারাপ করেনি। বোর্ড প্রেসিডেন্ট দলের বিরুদ্ধে ভাল জয় পেয়েছে প্রস্তুতি ম্যাচে। এই জয় ওদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।

কয়েক দিন আগে সফর করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া আর এই নিউজিল্যান্ড দলের মধ্যে তফাতটা স্পিন বিভাগে। ব্ল্যাক ক্যাপ্‌স-এর কিন্তু এমন স্পিনার আছে, যারা অস্ট্রেলীয় স্পিনারদের থেকে বেশি নিখুঁত। যদি পিচে বল ঘোরে, মাঝের ওভারগুলোতে কিন্তু ওদের স্পিনাররা উইকেট তুলতে পারবে। যেটা অস্ট্রেলিয়ার স্পিনাররা পারছিল না। নিউজিল্যান্ড নিশ্চয়ই খুব খুশি রস টেলরের ফর্ম নিয়ে। প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছে টেলর। যদি নিউজিল্যান্ডকে এই সিরিজে ভাল কিছু করতে হয়, তা হলে টেলর, মার্টিন গাপ্টিল বা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন-কে সেরা ফর্মে থাকতে হবে। তা না হলে কিন্তু অতীতের মতোই বিপর্যয় সঙ্গী হবে ওদের।

Advertisement

অতীতে ভারতে এসে ওদের ব্যাটসম্যানদের পেস বোলিংয়ের বিরুদ্ধে শক্তিশালী দেখিয়েছে। কিন্তু স্পিনারদের বিরুদ্ধে ভেঙে পড়েছে। আশা করব, নিউজিল্যান্ড ওদের অতীত ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে। যেটা অস্ট্রেলিয়া বা এমনকী, ইংল্যান্ডও করেনি। নিউজিল্যান্ডকে উইকেট হাতে রেখে ইনিংস গড়ার দিকে মন দিতে হবে। যাতে স্পিনাররা যখন বল করতে আসবে, তখন যেন ওদের হাতে উইকেট থাকে। ওরা সিরিজের প্রথম ম্যাচটা হচ্ছে ওয়াংখেড়েতে, যেখানে একটু বেশি বাউন্স থাকে। সিরিজ শুরু করার জন্য ওদের দিক থেকে কিন্তু এটা ভাল একটা কেন্দ্র।

ভারত এমন একটা দল বেছে নিয়েছে, যারা সকলেই সুযোগ পাওয়ার যোগ্য। আমি এই দল নির্বাচনে একেবারেই অবাক নই। এই দলটা খুবই শক্তিশালী। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ওরা খুবই ধারাবাহিক। তবে একটা বদল নিয়েই আমি একমত হতে পারছি না। সেটা হচ্ছে, কে এল রাহুলকে বাদ দেওয়া। রাহুল এমন এক জন ব্যাটসম্যান যে, ভাল বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে রান করেছে। সেটা অস্ট্রেলিয়ায় হোক কী শ্রীলঙ্কায় কঠিন পিচে হোক বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টি- টোয়েন্টি ম্যাচে অসাধারণ সেঞ্চুরি করা হোক।

রাহুল ভবিষ্যতের তারকা, তাই ওকে খেলিয়ে যাওয়া উচিত। মানছি, ওয়ান ডে সিরিজে তিন-চারটে ম্যাচ ও কিছু করতে পারেনি। এর পরেও আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, ও অসাধারণ এক প্রতিভা। নির্বাচকদের উচিত, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাহুলকে দলে ফিরিয়ে আনা।

ভারতের সামনে এখন নিউজিল্যান্ড। এরপর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে সিরিজ রয়েছে। তার পরেই ওরা যাবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। দলে মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব নেই। ওরা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে বেড়াচ্ছে। আমার মনে হয়, ওদের ওয়ান ডে খেলানো উচিত। এই সিরিজটায় ভুবি (ভুবনেশ্বর) এবং বুমরা-কে বিশ্রাম দেওয়া যেত। উমেশ আর শামি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে খুব একটা বল করেনি। ওদের চাঙ্গা রাখতে এই সিরিজে খেলানোই যেত। একটা কথা মনে রাখা দরকার— আগামী পনেরো মাসে কিন্তু দু’জন নয়, ভারতের হাতে পাঁচ জন পেসার তৈরি থাকা দরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন