‘বাপি বাড়ি যা’-র এক ঝলক। কালিসকে মাঠের বাইরে ফেলছেন সৌরভ। হিউস্টনে অলস্টার ম্যাচে। ছবি: এএফপি।
ঠিক সাত বছর আগের ১০ নভেম্বর ক্রিকেট কফিন তুলে রাখার ঘোষণাটা করেছিলেন। অবসরের সাত বছর পর বন্ধুর টিমের হয়ে ফের হিউস্টনের মাঠে নামলেন ‘অফ সাইডের ঈশ্বর’। এবং প্রত্যাবর্তনের সেই ম্যাচে একটা বাউন্ডারি, একটা ওভারবাউন্ডারি থাকল তাঁর ১২ বলে করা ১২ রানে।
স্বপ্নের জুটি একসঙ্গে খেলেও অবশ্য কোনও লাভ হল না। সচিন তেন্ডুলকরের ‘ব্লাস্টার্স’দের ৫৭ রানে হার ঠেকাতে পারলেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বরং এ দিন বিস্ফোরণ যা ঘটল, সবই শেন ওয়ার্নের যোদ্ধাদের ব্যাট থেকে। কুমার সঙ্গকারার ৩০ বলে ৭০, জাক কালিসের ২৩ বলে ৪৫ আর রিকি পন্টিংয়ের ১৬ বলে ৪১-এর দোর্দণ্ডপ্রতাপে কুড়ি ওভারে ওয়ার্নস ওয়ারিয়রস পাঁচ উইকেটে পৌঁছে যায় ২৬২ রানে। টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠানো পুরোপুরি ব্যুমেরাং সচিনের।
এর পর সচিন-সহবাগ জুটি যখন নামছে জমজমাট যুদ্ধের আশায় উত্তাল হল গ্যালারি। সিরিজটা যতই ‘প্রদর্শনী’ হোক, তারকাদের ভিতরের আসল লড়াকু ক্রিকেটার-সত্তা বেরিয়ে পড়ল ম্যাচে। সচিন-সহবাগের মোকাবিলায় বোলিং ওপেন করতে এলেন সুইংয়ের সুলতান ওয়াসিম আক্রম। বীরেন্দ্র সহবাগও মেজাজে করলেন শুরুটা। প্রথম ওভারেই ছক্কা। পরের ওভারে অজিত আগরকর তাঁর লক্ষ্যবস্তু হলেন। পুরনো হিন্দি গান গাইতে গাইতে আগরকরকে ওড়ালেন মাঠের বাইরে। তবে এর দু’বল পরেই আগরকরের বলে প্লেড অন। ৮ বলে ১৬ করে। সচিনও নিখুঁত টাইমিংয়ে তিনটি বাউন্ডারি এক জোড়া ওভার বাউন্ডারিতে ২২ বলে ৩৩ করে পুরনো শত্রু সাকলিন মুস্তাককে উইকেট দিয়ে গেলেন। ব্লাস্টার্সদের হয়ে শন পোলক ২২ বলে ৫৫ আর ব্রায়ান লারা ২১ বলে ১৯ করলেন। কিন্তু বেসবলের ছোট মাঠেও কুড়ি ওভারে ২০৮-৮ এর বেশি উঠল না।
পর পর দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে পুরল ওয়ার্নস ওয়ারিয়র্স। শনিবার লস অ্যাঞ্জেলিসে সিরিজের শেষ ম্যাচ।
কলকাতা ছাড়ার আগে সচিনকে ‘হুমকি’ দিয়েছিলেন সৌরভ— ওপেন করতে না দিলে পরের ফ্লাইটেই ফিরে আসব কলকাতা! হিউস্টন ম্যাচের পর তিনি কি অবস্থান পাল্টাচ্ছেন? লস অ্যাঞ্জেলিস পর্বের আগে আলোচ্য আপাতত সেটাই!