অপরূপা: নিজের বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে মারিয়া শারাপোভা। ছবি: টুইটার
মারিয়া শারাপোভার আত্মজীবনী নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গেল। রুশ সুন্দরী যে ভাবে সেরিনার শারীরিক গঠনের বর্ণনা দিয়েছেন তাঁর বইয়ে, তা নিয়েই আপত্তি উঠেছে।
আত্মজীবনীতে শারাপোভা লিখেছেন, ‘সেরিনার শারীরিক উপস্থিতিটা যা অনুমান করা হয়, তার চেয়েও অনেক বড় এবং শক্তিশালী। টিভি-তে দেখেও এতটা বোঝা যায় না। ওর বাহু খুব মোটা, তেমনই মোটাসোটা পা। খুবই ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মতো।’’ নিজে বেশি লম্বা হওয়া সত্ত্বেও সেরিনাকে তিনি ‘লম্বা, খুবই লম্বা’ বলে বর্ণনা করেছেন।
সেরিনাকে নিয়ে এমন শারীরিক বর্ণনা মোটেও গোটা বিশ্বে ভাল প্রতিক্রিয়া তৈরি করেনি। শারাপোভার মন্তব্যে বর্ণবিদ্বেষের ছোঁয়া আছে বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। বিশেষ করে অ্যাফ্রো-আমেরিকান সম্প্রদায় থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। যে টিভি অনুষ্ঠানে তাঁর আত্মজীবনী নিয়ে বিশ্লেষণ চলছিল, সেখানে এক দর্শক শারাপোভার মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘আপনি সেরিনাকে বর্ণনা করার সময় লিখেছেন, ওর পুরু বাহু এবং মোটা পা রয়েছে। এর জন্য অনেকে সমালোচনা করছেন। আপনি কেন এ ভাবে ওঁকে বর্ণনা করলেন?’’
শারাপোভা সেই দর্শকের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘‘একটা জিনিস বুঝতে হবে সকলকে যে, আমি একটি সতেরো বছরের মেয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে সেরিনাকে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। প্রথম বার ওকে দেখে যেটা মনে হয়েছিল সেটাই আমি বইয়ে লিখেছি। তখন আমার শরীর ভাল করে গড়েই ওঠেনি। তাই সেরিনার উপস্থিতি মনে ভয় ধরানোর মতোই একটা ব্যাপার ছিল আমার কাছে।’’
পুরুষদের টেনিসে যেমন রাফা বনাম রজার, মেয়েদের বিভাগে তেমনই সেরা দ্বৈরথ শারাপোভা বনাম সেরিনা। যদিও রাশিয়া থেকে ছয় বছর বয়সে আমেরিকা চলে আসা শারাপোভা কখনওই সেরিনার সমকক্ষ হতে পারেননি। মাশা মনে করছেন, এই দ্বৈরথের কাহিনি তাঁকে বইয়ে লিখতেই হতো। ‘‘২০০৪ সালে উইম্বলডন ফাইনালে ওকে হারানোটা আমার টেনিস জীবনের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত ছিল,’’ বলছেন তিনি।
আয়ের দিক থেকে শারাপোভা তাঁর কেরিয়ারে তুল্যমূল্য লড়াইয়ে ফেলেছেন সেরিনাকে। কিন্তু টেনিস দক্ষতা বা প্রাপ্তিতে ধারেকাছেও নেই। সেরিনা জিতেছেন রেকর্ড ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যাম, শারাপোভার আছে মাত্র ৫টি। মুখোমুখি সাক্ষাতেও সেরিনা একপেশে ভাবে এগিয়ে ১৮-২।