শিখর ছুঁয়ে সাংবাদিক বৈঠকে খোলামেলা ধবন

ভেবেছিলেন, ছুটিতে যাবেন মেলবোর্নে

ওয়ান ডে সিরিজে তো খেলতে হবে। যখন আমার নাম ঠিক হল, তখন হংকংয়ে ছিলাম। সেখান থেকে ভারতে ফিরে দলের সঙ্গে যোগ দিলাম। আমি ছুটি কাটাচ্ছিলাম কিন্তু মনে হয়, ঈশ্বরের আমাকে নিয়ে অন্য পরিকল্পনা ছিল। আমি ঈশ্বরের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

Advertisement

সুমিত ঘোষ

গল শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৭ ০৪:৩৮
Share:

লড়াই: গলে বড় ইনিংস গড়ার পথে পূজারা ও ধবন। এএফপি

টেস্টে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটানো ১৯০ রানের ইনিংসের মতো সাংবাদিক সম্মেলনেও তিনি সোজাসাপ্টা। শিখর ধবন যেন তাঁর ব্যাটিংয়ের মতোই সহজ, সরল। তুলে দেওয়া হল নির্বাচিত অংশ:

Advertisement

প্রাথমিক স্কোয়াডে না থাকা: আমার প্ল্যান ছিল মেলবোর্ন গিয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাব। ভেবেছিলাম, ওখানেই ট্রেনিং করে ফিট হব। ওয়ান ডে সিরিজে তো খেলতে হবে। যখন আমার নাম ঠিক হল, তখন হংকংয়ে ছিলাম। সেখান থেকে ভারতে ফিরে দলের সঙ্গে যোগ দিলাম। আমি ছুটি কাটাচ্ছিলাম কিন্তু মনে হয়, ঈশ্বরের আমাকে নিয়ে অন্য পরিকল্পনা ছিল। আমি ঈশ্বরের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

প্রস্তুতির সময় ছিল না: সে সব ঠিক আছে। টেস্ট দলে ফিরতে পেরেই আমি খুব খুশি ছিলাম। মুরলী বিজয়ের দুর্ভাগ্য যে, ও ফিট হতে পারেনি। এই টেস্ট সিরিজের আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমি ভাল করেছিলাম। সেই কারণে এখানে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আসতে পেরেছিলাম। তার পরে নেটেও ভাল করে নিজেকে তৈরি করেছি।

Advertisement

অভিষেকের পর সবচেয়ে ভাল ইনিংস: হ্যাঁ, অনেকটা অভিষেকের ইনিংসের মতোই খেললাম আজ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা সেঞ্চুরি করেছিলাম তাড়াতাড়ি খেলে। কিন্তু এটা আরও ভাল।

গলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি: এই মাঠে রান করেছি দু’বারই এসে। তাই স্পেশ্যাল হয়ে তো থাকবেই।

ব্যাটিং সহজ মনে হচ্ছিল: আমার ব্যাটিংয়ের ধরনের জন্যই শুধু এমন মনে হচ্ছিল, বলব না। পিচটাও সহজই খেলছিল। সঠিক বাউন্স এবং গতি রয়েছে। ব্যাট করতে করতে মনে হচ্ছিল, আজ সব কিছু ঠিকঠাক হচ্ছে।

টেস্টে ধারাবাহিকতা চান: অবশ্যই। এটা নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি। ভাবনাটা ছিল, ক্রিকেটকে উপভোগ করা। যখন খারাপ সময় যাচ্ছিল, তখনও নিজের ওপর চাপ বাড়তে দিইনি। দিল্লিতে ফিরে গিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছিলাম। সেখানেও আমি রাজ্য দলের সতীর্থদের সঙ্গে উপভোগ করছিলাম।

স্পিনের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক: হ্যাঁ, একটা চেষ্টা ছিল ঠিকই যে, স্পিনারদের থিতু হতে দেব না। বল খুব টার্ন করছিল না বলে স্টেপ আউট করতে শুরু করি।

ডাবল হাতছাড়া হওয়া: অবশ্যই আমি হতাশ। শুধু ডাবল কেন, আমি তো চাইতাম ট্রিপল সেঞ্চুরি করে আসতে। ওটা ছিল চা-পানের ঠিক আগের ওভার। আসলে যে ভাবে খেলছিলাম, স্থির বিশ্বাস ছিল মিড-অফের ওপর দিয়ে মেরে দিতে পারব। সেই সময় প্রত্যেক ওভারে অন্তত একটা বাউন্ডারি পাচ্ছিলামই। গিয়ারটা পাল্টাতে চাইনি। দুর্ভাগ্যবশত, ওই শটটায় আটকে গেলাম। অবশ্যই আমি হতাশ ডাবল সেঞ্চুরিটা পেলাম না বলে।

সুইপ শটই অস্ত্র: এটা ব্যক্তি বিশেষে নির্ভর করে। আমি ভাল সুইপ মারতে পারি। ওটা আমার শক্তি। আর আজ ওরা আমার পায়ের দিকে অনেক বল করেছে। তাই আমার সুবিধেই হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন