সুপার কাপে মোহনবাগানের পরিত্রাতা হলেন শিল্টন পাল।
ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পেনাল্টি তো বাঁচালেনই। একের বিরুদ্ধে এক অবস্থায় লাজং এফসির দুই স্ট্রাইকারের শট বাঁচালেন টানা ১১ বছর সবুজ-মেরুন জার্সিতে খেলা গোলকিপার।
ভুবনেশ্বরে বুধবার পাহাড়ি দলের বিরুদ্ধে দিপান্দা ডিকাদের জিততে অবশ্য বেশ লড়তে হল। তীব্র গরমের মধ্যেও দু’গোলে পিছিয়ে থাকা ম্যাচ বিরতির সময় ২-১ করে ফেলেছিল শিলং। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান রণনীতি বদলে ফেলায় পরের দিকে তেমন সুবিধা করতে পারেননি আবদুল্লা কোফি-রা। আই লিগে দু’বার শিলংয়ের মুখোমুখি হয়েছেন কিংগসলে ওবুমেনেমেরা। একবারও পাহাড়ি দল জিততে পারেনি। সেই ধারা অব্যাহত রেখে সেমিফাইনালে চলে গেল শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দল। শেষ চারে তাদের খেলতে হবে বেঙ্গালুরু এফসি বনাম নেরোকা এফসির বিজয়ীর সঙ্গে। কাদের সামনে পেলে খুশি হবেন? স্টেডিয়াম থেকে হোটেলে ফেরার পথে দিনের নায়ক শিল্টন ফোনে বললেন, ‘‘দুটো দলই খুব শক্তিশালী। যে সামনে পড়বে তার সঙ্গেই খেলতে হবে।’’
প্রিয় ক্লাবের খেলা দেখতে মোহনবাগান সমর্থকরা গিয়েছিলেন কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। তাঁরা দুটি দুর্দান্ত গোলের সাক্ষী থাকলেন। শুরুর ১২ মিনিটের মধ্যে শিলংয়ের তিন জন রক্ষণের খেলোয়াড় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও মাটিতে শুয়ে ভলিতে দুর্দান্ত গোল করেন শেখ ফৈয়জ। নিখিল কদমের যে গোলে মোহনবাগান ২-০ এগিয়ে যায়, সেই গোলের সিদ্ধান্ত নিতে রেফারি সন্তোষকুমার প্রায় দু’মিনিট সময় নিলেন। প্রায় পঁচিশ গজ দূর থেকে নিখিল যে শট নেন তা ক্রসপিসে লেগে শিলংয়ের গোললাইন পেরিয়ে মাটিতে পড়ার পর বাইরে চলে আসে। গোল না দিয়ে খেলা চালাতে থাকেন রেফারি। গোলের দাবি নিয়ে মোহনবাগান ম্যানেজার ছুটে যান চতুর্থ রেফারির দিকে। রেফারি খেলা থামিয়ে সহকারীর মত নিয়ে গোলের সিদ্ধান্ত জানান। ২২ মিনিটের মধ্যে জোড়া গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর কিংশুক দেবনাথের ভুলে গোল হজম করে মোহনবাগান। হেডে গোল করে যান শিলংয়ের কোফি।
বিরতির পর মোহনবাগানের শেষ গোলটি হয়। অরিজিৎ বাগুইয়ের ক্রসে মাথা লাগাতে যান আক্রম মোগরাভি এবং শিলংয়ের স্যামুয়েল। আক্রমের হেড স্যামুয়েলের মাথায় লেগে ঢুকেছে বলে রেফারি আত্মঘাতী গোল দেন। যদিও মোহনবাগান শিবিরের দাবি, গোল করেছেন আক্রম।