ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজই তাঁর জীবনের শেষ টেস্ট হবে, ম্যাচের তৃতীয় দিনের শেষে অপ্রত্যাশিত ঘোষণা করলেন শোয়েব মালিক। অপ্রত্যাশিত কারণ, পাঁচ বছর বাদে এই সিরিজই ছিল তাঁর প্রত্যাবর্তনের সিরিজ। প্রথম ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরিও করেন সানিয়া মির্জার স্বামী। কিন্তু বাকি ইনিংসগুলোয় রান পাননি। তবে ওয়ান ডে খেলবেন তিনি।
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করতে আসেন দৃশ্যত আবেগাপ্লুত শোয়েব। বলেন, ‘‘এখনই সরে যাওয়ার সঠিক সময়। টিমে এখন অনেক ভাল তরুণ এসেছে। আমি ২০১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে ফোকাস করতে চাই। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই।’’ আজহার আলি চোট পাওয়ার পর গত মাসে নাটকীয় ভাবে টেস্ট টিমে প্রত্যাবর্তন করেন শোয়েব। প্রথম ম্যাচের ২৪৫ টেস্টে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর। তার আগে তাঁর শেষ টেস্ট ছিল ইংল্যান্ডেরই বিরুদ্ধে এজবাস্টনে, ২০১০ সালে।
প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৪৫ করার পরে অবশ্য শোয়েব চূড়ান্ত ব্যর্থ। পরের চার ইনিংসে তাঁর স্কোর ০, ২, ৭ এবং ০। এ দিনও শূন্য রানে আউট হওয়ার পর হতাশ দেখাচ্ছিল শোয়েবকে। তবে বল হাতে এ দিন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তাঁর। মাত্র ৯.৫ ওভার বল করে তাঁর বোলিং হিসেব ৪-৩৩। শোয়েবের অবসর ঘোষণার চেয়ে কম নাটকীয় ছিল না টেস্টের তৃতীয় দিন। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ২৩৪ রানে শেষ হয়ে যাওয়ার পরে যথেষ্ট ভাল জায়গায় ছিল ইংল্যান্ড। ২২২-৪ অবস্থায় এ দিন ব্যাট করতে নেমেছিলেন জেমস টেলর (৭৬) এবং জনি বেয়ারস্টো (৪৩)। কিন্তু পাক বোলিংয়ের পাল্টা যুদ্ধে লিড বেশি দূর টানতে পারেনি ইংল্যান্ড। শেষ হয়ে যায় ৩০৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান তৃতীয় দিন ১৪৬-৩। ইউনিস (১৪), শোয়েবরা আউট হলেও দুর্দান্ত লড়ছেন মহম্মদ হাফিজ (৯৭ ব্যাটিং)।