একটি একদিনের ম্যাচে দেড়শোর উপর রান। কিন্তু,তাও দলকে জেতাতে পারেননি। এমনই ভাগ্যহীন ক্রিকেটারদের তালিকায় রয়েছেন একাধিক তারকা ব্যাটসম্যান। দেখে নেওয়া যাক তেমনই কয়েকটি ইনিংস।
রোহিত শর্মা: কানপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মুখোমুখি ভারত। প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছিল পাঁচ উইকেটে ৩০৩ রান।
জবাবে শুরুটা ভালই হয়েছিল ভারতের। এক সময় মাত্র এক উইকেটে ১৯১ রান তুলেও ফেলেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি পাঁচ রানে হেরে যায় ভারত। সেই ম্যাচে রোহিত শর্মা করেছিলেন ১৩৩ বলে ১৫০।
চার্লস কভেন্ট্রি: ২০০৯-এ বাংলাদেশ-জিম্বাবোয়ে একদিনের ম্যাচ। প্রথমে ব্যাট করে ৩১২ রানের বিশাল স্কোর করে জিম্বাবোয়ে। সৌজন্যে অবশ্যই তিন নম্বরে নামা চার্লস কভেন্ট্রি। তিনি মাত্র ১৫৬ বলে করেছিলেন অপরাজিত ১৯৪।
কিন্তু,চার্লস কভেন্ট্রির সেই বিধ্বংসী ইনিংস কোনও কাজে দিল না। ওপেনার তামিম ইকবালের ১৫৪ রানে ভর করে ১৩ বল বাকি থাকতেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বাংলাদেশ।
রিকি পন্টিং: প্রথমে ব্যাট করে রেকর্ড গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। ৫০ ওভারে ৪৩৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন রিকি পন্টিং। ১০৫ বলে ১৬৪ রান করেছিলেন তিনি।
যদিও পন্টিংয়ের সেই ইনিংস দলকে জেতাতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবসের ১১১ বলে ১৭৫ রান আর সঙ্গে ছিল অধিনায়ক স্মিথের ৫৫ বলে ৯০ রান। বিশ্বরেকর্ড গড়ে এক উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
তিলকরত্নে দিলশন: প্রথমে ব্যাট করে বীরেন্দ্র সহবাগে ঝড়ে উড়ে গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার বোলাররা। টিম ইন্ডিয়া করেছিল সাত উইকেটে ৪১৪ রান।
শ্রীলঙ্কা ভালই জবাব দেওয়া শুরু করেছিল। সৌজন্য অবশ্যই দিলশন। সঙ্গে ছিলেন অধিনায়ক কুমার সঙ্গাকারা। সে দিন ১২৪ বলে ১৬০ করেছিলেন দিলশন। যদিও শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা হেরে যায়। নির্ধারিত ৫০ ওভারে লক্ষ্যের তিন রান আগে আটকে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
সচিন তেন্ডুলকর: প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল চার উইকেটে ৩৫০। ভারতের অতি বড় সমর্থকও সে দিন আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু, আশা দেখাতে শুরু করেছিলেন লিটল মাস্টার। সুরেশ রায়নাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন অনেকটা। নিজে করেছিলেন ১৪১ বলে ১৭৫। কিন্তু, সচিন আউট হতেই সব আশা শেষ। ইন্ডিয়া হেরে যায় তিন রানে।