ডিসেম্বর ১৯৫৯: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম টেস্ট জয়। এর আগের ন’টি ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছিল ভারত। কানপুরের এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসের পরও পাল্লা ভারী ছিল অজিদেরই। কিন্তু বাদ সাধেন জেসু পটেল। তাঁর ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয় নিল হার্ভে-রিচি বেনোর অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচে ১৪ উইকেট নেন জেসু। ১১৯ রানে ম্যাচ জেতে ভারত।
অক্টোবর ১৯৬৪: অজিদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় জয়টি আসতে সময় লেগেছিল পাঁচ বছর। ব্রাবোর্নের সেই ম্যাচে ২ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছিল পটৌডীর ভারত। অজি বধে বড় ভূমিকা নিয়েছিল চন্দ্রশেখরের আট উইকেট এবং মনসুর আলি খান পটৌডীর ৮৬ ও ৫৩ রানের ইনিংস।
নভেম্বর ১৯৬৯: ফের অপেক্ষা পাঁচ বছরের। সে বার ফিরোজ শাহ কোটলায় বিল লরির অস্ট্রেলিয়াকে সাত উইকেটে উড়িয়ে দেয় পটৌডীর ভারত। দুই ইনিংস মিলিয়ে প্রসন্ন-বেদীর জুটি ১৮টি উইকেট নেয়।
ডিসেম্বর ১৯৭৭: অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের প্রথম টেস্ট জয়। সৌজন্যে সেই ভাগবত চন্দ্রশেখর। দু’ইনিংস মিলিয়ে মোট ১২ অজি ব্যাটসম্যান চন্দ্রশেখরের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন। ২২২ রানে ম্যাচ পকেটে পোরে ভারত।
জানুয়ারি ১৯৭৮: মেলবোর্নের দুরন্ত ফর্ম সিডনিতেও যেন বয়ে নিয়ে গিয়েছিল বেদীর ভারত। এ ক্ষেত্রেও কৃতিত্বের সিংহভাগ প্রাপ্য বেদী-চন্দ্রশেখর-প্রসন্নর স্পিন ত্রয়ীর। মোট ১৭ উইকেট নেন তাঁরা। সে বারই প্রথম ভারতের বিরুদ্ধে অজিদের ইনিংস হারের মুখোমুখি হতে হয়। এক ইনিংস ও ২ রানে ম্যাচ জেতে ভারত।
অক্টোবর ১৯৭৯- দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য জয় ছিল সুনীল গাওস্করদের সেই বছর। পাঁচ টেস্টে ২-০ করে সিরিজ জিতে নেয় ভারত। সুনীল গাওস্কর, সৈয়দ কিরমানি, গুণ্ডাপ্পা বিশ্বনাথদের ব্যাটিং দাপটে কিম হগের অস্ট্রেলিয়া ধূলিসাত্ হয়ে যায়।
জানুয়ারি ১৯৮১- অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে প্রথম টেস্টেই নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল সুনীল গাওস্করদের। এক ইনিংস এবং ৪ রানে হারতে হয় তাঁদের। কিন্তু অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টে দারুণ ফাইট দিয়ে ড্র করে ভারত। সন্দিপ পাতিলের দুর্দান্ত শতরান ছিল ওই টেস্টে। শেষ টেস্টে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়াকে দ্বিতীয় ইনিংসে একেবারে ধূলিসাত্ করে দেয় ভারতীয় বোলাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৮৩ গুটিয়ে যায় অসিরা। কপিল দেব ৫টি উইকেট নিয়েছিলেন। শেষ টেস্টে ৫৯ রানে জিতে সিরিজে সমতা ফেরান গাওস্কররা।
অক্টোবর, ১৯৯৬- দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলাতে একটি মাত্র টেস্ট খেলা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। প্রায় ১৫ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয় দেখে সচিন তেন্ডুলকরের টিম। উইকেটকিপার নয়ন মোঙ্গিয়ার দুর্দান্ত ১৫৩ রানের ইনিংসে ৭ উইকেটে টেস্ট জিতে নেয় ভারত।
মার্চ, ১৯৯৮- ভারত সফরে এসে মার্ক টেলরের দল ১-২ সিরিজে হেরে বাড়ি ফিরতে হয়। এই সিরিজে সচিন তেন্ডুলকর এবং আজহারউদ্দিন দুর্দান্ত কিছু ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। সিরিজের সেরা হয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর।
ফেব্রুয়ারি, ২০০১- সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অধিনায়কত্বে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বড়সড় সাফল্য আসে ভারতের। ওই সময় স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িত ভারতীয় ক্রিকেটকে কার্যত কোমা থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন সৌরভ। ২-১ সিরিজ জিতেছিল তাঁরা।
অক্টোবর, ২০০৮- অনিল কুম্বলের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ টেস্ট সিরিজ জেতে ভারত। চারটি টেস্টের মধ্যে প্রথম এবং তৃতীয় টেস্ট ড্র করে অস্ট্রেলিয়া।
ফেব্রুয়ারি, ২০১৩- অস্ট্রেলিয়াকে একেবারে হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়ে ধোনির টিম। সিরিজের ৪টি টেস্টই নিজেদের পকেটে রাখেন তাঁরা। চেতেশ্বর পূজারা, মুরলি বিজয়, শিখর ধবন, বিরাট কোহালিদের দুর্দান্ত ইনিংস দেখা গিয়েছিল গোটা সিরিজটায়।