কঠিন আইজল ম্যাচে বাগানে ফিরছেন সনি

মোহনবাগানকে টপকে ইতিমধ্যেই লিগ তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। বুধবার ডিএসকে শিবাজিয়ান্সকে ১-০ হারিয়ে আইজল এফসি-ও কার্যত সঞ্জয় সেনের টিমের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪৬
Share:

লঙ্কা জয়ের রাতে। কলম্বোর টিম হোটেলে মোহনবাগান।

মোহনবাগানকে টপকে ইতিমধ্যেই লিগ তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। বুধবার ডিএসকে শিবাজিয়ান্সকে ১-০ হারিয়ে আইজল এফসি-ও কার্যত সঞ্জয় সেনের টিমের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলছে। এক ম্যাচ বেশি খেলে তাঁরা পয়েন্টের বিচারে এক বিন্দুতে কাতসুমিদের সঙ্গে। তাতেও ‘কুছ পরোয়া নেহি’ মনোভাব বাগানের। কলম্বো থেকে এএফসি কাপের ম্যাচ জিতে ফেরার পর এখন যেন আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী সঞ্জয় সেনের টিম।

Advertisement

শনিবার আইজলের সঙ্গে ম্যাচ খেলবেন ড্যারেল ডাফিরা। তার পরই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ডার্বি। যে দু’টি ম্যাচ এই মুহূর্তে আই লিগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ দু’টি জিততে পারলেই আবার একে উঠে আসবেন সনি-কাতসুমিরা। এর মাঝে অবশ্য কলম্বো এফসি-র বিরুদ্ধে এএফসি কাপের গ্রুপ লিগের ফিরতি ম্যাচ খেলতে হবে সনি নর্ডিদের। দু’রকম টুর্নামেন্টে ফোকাস একেবারেই আলাদা। সে ক্ষেত্রে বারবার ফোকাস বদলানো কতটা চাপ সৃষ্টি করে ফুটবলারদের উপর? সবুজ-মেরুন কোচ সঞ্জয় অবশ্য নিজের টিম নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। এ দিন কলম্বো থেকে শহরে ফিরে তিনি বলে দিলেন, ‘‘গত বছরও তো আমরা এ ভাবেই আই লিগ আর ফেডারেশন কাপের মাঝে মাঝেই এএফসি কাপ খেলেছি। ফুটবলারদের তাই একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার মনে হয় না এ বার আর কোনও সমস্যা হবে।’’

আই লিগ এবং এএফসি কাপ মিলিয়ে পর পর ম্যাচ খেলতে হচ্ছে মোহনবাগানকে। সে জন্য সঞ্জয় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ফুটবলারদের খেলানোর চেষ্টা করছেন। যাতে কিছুটা হলেও তাঁদের বিশ্রাম দেওয়া যায়। তিনি এ দিন স্বীকার করে নেন, ‘‘এত ঘন ঘন ম্যাচ। ফুটবলাররা ক্লান্ত হয়ে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। চোট-আঘাতও হতে পারে। তবে এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আমি সব সময় সতর্ক থাকছি।’’

Advertisement

কেইন লুইসের হাঁটুতে চোট রয়েছে। কলম্বো এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি চোট পেয়েছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁর ডাক্তার দেখানোর কথা। তার পরই বোঝা যাবে, চোট কতটা গুরুতর। তবে আইজলের বিরুদ্ধে সনি নর্ডি ফিরবেন। ফিরতে পারেন এডুয়ার্ডো ফেরেরাও। সনি বলেও দিয়েছেন, ‘‘এএফসি কাপের ম্যাচে জয়টা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেটা জেতায় সবার আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। আইজলের বিরুদ্ধে আমি খেলতে পারব। ওই ম্যাচটা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ এ বারের বাগান টিমের বড় সুবিধা, তাদের রিজার্ভ বেঞ্চও অত্যন্ত শক্তিশালী। আইজল ম্যাচের আগে সেটাই বড় ভরসা বাগান-কোচের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন