নিজস্বী: আদালতে গিয়েছিলেন যিনি, তাঁর সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধলেন সৌম্যজিৎ ঘোষ। সোমবার বৌভাতে। ছবি: সুদীপ ঘোষ
চার মাস আগে তাঁর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ এনেছিলেন বারাসতের তরুণী তুলিকা দত্ত। শুধু অভিযোগ এনেই থামেননি তিনি। অভিযুক্ত টেবল টেনিস খেলোয়াড় সৌম্যজিৎ ঘোষের শাস্তি চেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। যার জেরে কমনওয়েলথ গেমস-সহ একাধিক টুর্নামেন্টে খেলা হয়নি ভারতীয় দলের সদস্য সৌম্যজিতের। মানসিক চাপ ও অনুশীলনের অভাবে বেড়ে গিয়েছিল বঙ্গসন্তান এই টেবল টেনিস খেলোয়াড়ের ওজনও।
শেষ পর্যন্ত সব সমস্যার অবসান ঘটিয়ে সেই তুলিকাকেই বিয়ে করলেন সৌম্যজিৎ। মঙ্গলবার সন্তোষপুরে বৌভাতের আসরেই স্ত্রীকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে সৌম্যজিৎ বলে দিলেন, ‘‘অতীত ভুলে গিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তা মিটে গিয়েছে। এ বার সামনে তাকাতে চাই। আদালতের ঝামেলা শীঘ্রই মিটে যাবে। দ্রুত অনুশীলনে ফিরতে চাই। ভারতীয় দলের হয়ে তৃতীয় অলিম্পিক্সে টোকিয়ো যেতেই হবে।’’
পাশে বসা নববিবাহিত স্ত্রী তুলিকা তখন হাসছেন। তিনিও বললেন, ‘‘মামলা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি সৌম্যজিতকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত তা হওয়ায় আমি খুশি।’’
গত মার্চে বারাসত মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার সময় জার্মানিতে খেলছিলেন সৌম্যজিৎ। সেই সময়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে সৌম্যজিৎ বলেন, ‘‘ওই দুঃসময়ে যাঁরা পাশে ছিলেন, তাঁদের মনে রেখেছি। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। যাঁরা পাশে ছিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ। যাঁরা ছিলেন না, তাদের জবাব দিতে চাই টেবল টেনিস খেলে।’’