ভারতীয় পেসারদের গতিতে মুগ্ধ সৌরভেরা

দুই পেসার— নগরকোটি এবং শিবম মাভির গতিতে মুগ্ধ সৌরভরা। বিশেষ করে নজর কেড়েছেন নগরকোটি। আঠারো বছরের এই ছেলেটি নিয়মিত ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করে যাচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৩৯
Share:

চমক: প্রথম ম্যাচে গতির জন্য নজরে নগরকোটি। ছবি: টুইটার

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করার দিনে ভারতীয় চমক হিসেবে উঠে এল নতুন একটি নাম। তিনি— কমলেশ নগরকোটি। তরুণ এই পেস বোলারের গতি চমকে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তনদের। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে বীরেন্দ্র সহবাগ, সবাই মুগ্ধ ভারতের এই তরুণ পেস আক্রমণ নিয়ে।

Advertisement

দুই পেসার— নগরকোটি এবং শিবম মাভির গতিতে মুগ্ধ সৌরভরা। বিশেষ করে নজর কেড়েছেন নগরকোটি। আঠারো বছরের এই ছেলেটি নিয়মিত ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করে যাচ্ছেন। মাঝে তো তাঁকে একবার প্রায় ১৪৭ কিলোমিটার গতিতে একটা বল করতে দেখা যায় রবিবার। ভারতীয় যুব পেসারদের এই বোলিং দেখার পরে সৌরভের আবেদন, বিরাট কোহালি যেন এই ছেলেদের ওপরে একটু নজর দেন।

নিউজিল্যান্ডে যুব বিশ্বকাপে কমেন্ট্রি করতে গিয়েছেন সৌরভ। সেখানে রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দেখার পরে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক টুইট করেন, ‘কোহালি, ভিভিএস লক্ষ্মণ, বিসিসিআই— ভারতের এই দুই তরুণ পেসারের ওপরে নজর রাখো। মাভি এবং নগরকোটি ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করছে নিউজিল্যান্ডে। দুর্দান্ত।’

Advertisement

প্রশংসা পাওয়া যাচ্ছে সহবাগের কাছ থেকেও। ভারতের প্রাক্তন ওপেনারের টুইট, ‘দুরন্ত গতিতে বল করেছে আমাদের ছেলেরা। বিশ্বকাপের শুরুটা দারুণ হল অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে। জেতার খিদেটা ধরে রাখতে হবে।’

ভারতের এই দুই পেসারকে খেলার অভিজ্ঞতা আছে সরফরাজ খানের। যুব দল নিউজিল্যান্ডে রওনা হওয়ার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে এই দুই পেসারকে খেলেছিলেন সরফরাজ। যে অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলছেন, ‘‘আমি দু’টো যুব বিশ্বকাপ খেলেছি। আর সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ভারতের এত ভয়ঙ্কর পেস আক্রমণ আমি আগে দেখিনি। এ বারের বিশ্বকাপে ওরা কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ঝামেলায় ফেলে দেবে।’’ রাজস্থানের নগরকোটি এবং উত্তরপ্রদেশের মাভি এর আগে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েও কিন্তু নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেছেন। যেখানে ভারত ওয়ান ডে-তে ৫-০ এবং টেস্টে ২-০ সিরিজ জিতেছিল। দুই পেসারই ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার। নগরকোটির বোলিং দেখেছেন এমন অনেকের বক্তব্য, পুরনো বলে ভাল রিভার্স সুইংও করাতে পারেন তিনি। ভারত ছাড়ার আগে রীতিমতো আত্মবিশ্বাস নিয়ে নগরকোটি বলে গিয়েছিলেন, ‘‘আমার বলের গতি নিয়ে আলোচনা হয়, জানি। এতে আমারই সুবিধে হয়ে যাচ্ছে। কারণ, মাঠে নামার আগেই ব্যাটসম্যানরা আমার বলের গতি নিয়ে ভাবতে শুরু করে দেয়। আমিও শুরুর দিকে ব্যাটসম্যানদের কয়েকটা বাউন্সার মেরে ভয় পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।’’

ইংল্যান্ডের ফর্ম ধরে রাখার ইঙ্গিত ভারত প্রথম ম্যাচেই দেখিয়েছে নিউজিল্যান্ডে। এ বার দেখার, কত দূর যেতে পারে রাহুল দ্রাবিড়ের দল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন