সিএবি সচিবের বিবৃতিতে বিতর্ক

সোমবার বাংলা দল হিমাচলপ্রদেশ পৌঁছে যাওয়ার পরে, মনে করা হচ্ছিল, সব কিছু ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে যাবে। মেন্টর অরুণ লাল বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৫০
Share:

সিএবি সচিব অভিষেক ডালমিয়ার বিবৃতিতে তৈরি হল বিতর্ক। ছবি: সংগৃহীত।

চলতি মরসুমে বাংলার রঞ্জি অভিযান শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। তার ঠিক তিন দিন আগে অধিনায়কত্ব নিয়ে ডামাডোল কমানোর বদলে তা আরও বাড়িয়ে দিলেন সিএবি প্রশাসকরা।

Advertisement

সোমবার বাংলা দল হিমাচলপ্রদেশ পৌঁছে যাওয়ার পরে, মনে করা হচ্ছিল, সব কিছু ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে যাবে। মেন্টর অরুণ লাল বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিকে। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎই সন্ধ্যার দিকে বিবৃতি দিয়ে বসলেন সিএবি সচিব অভিষেক ডালমিয়া। বিবৃতি পেশ করে তিনিই সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, ‘দল ঘোষণার আগে কোচ সাইরাজ বাহুতুলে ফোন করেন মনোজকে। দেওধর ট্রফিতে খেলার জন্য বাইরে ছিলেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। তাঁকে দল পড়ে শুনিয়ে নিয়েছিলেন কোচ। এর পরেই কোচের কাছ থেকে ফোন নিয়ে আমি মনোজের পর্যবেক্ষণ জানতে চাই। তার পরেই নির্বাচকরা চূড়ান্ত দল বেছে নিয়ে সই করে দেন।’

অধিনায়ককে অন্ধকারে রেখে দল নির্বাচন করে ফেলার এমন ঘটনা বাংলা ক্রিকেটে নজিরবিহীন। ক্রিকেটের সর্বজনবিদিত প্রথা হচ্ছে, অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়েই দল নির্বাচনী বৈঠক হয়। অধিনায়ক যদি খেলার জন্য বাইরে থাকেন, তাঁকে বৈঠকে যুক্ত করা হয় টেলি কনফারেন্সে। সচিবের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, এক্ষেত্রে দল নির্বাচনের আগে বা বৈঠকের সময় অধিনায়ক হাজির ছিলেন না বা তাঁর কোনও মতামত নেওয়া হয়নি। দল নিজেদের মতো গড়ে নেওয়ার পরে মনোজকে তা পড়ে শোনানো হয়। যা পুরোপুরি প্রথাবিরুদ্ধ। সিএবি সচিবের বিবৃতির শুরুতেই রয়েছে অধিনায়ককে দল নিয়ে জানানো হয়েছে। বিবৃতির কোথাও লেখা নেই, দল নির্বাচন নিয়ে অধিনায়কের মতামত নেওয়া হয়েছে। সচিবকে প্রশ্ন করা হয়, দল নির্বাচনের বৈঠক শুরু হওয়ার আগে প্রথা অনুযায়ী কেন অধিনায়কের সঙ্গে রঞ্জি ট্রফির দল নিয়ে আলোচনা করা হল না? সভার শেষে কেন মনোজকে নাম পড়ে শোনালেন কোচ?

Advertisement

সচিব যার উত্তরে ধোঁয়াশা রেখে বললেন, ‘‘আমরা তো মনোজের পর্যবেক্ষণ জানতে চেয়েছিলাম।’’ বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক উৎপল চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘দল গড়ার আগে কোচ ও অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলা নিয়ম। এই দু’জনের মধ্যে কেউ বাইরে থাকলে টেলি কনফারেন্স করে তাঁদের মতামত চাওয়া হয়। তবে কাগজেই পড়লাম যে মাত্র দুই ম্যাচের জন্য মনোজ অধিনায়ক। সেক্ষেত্রে অধিনায়কের উপর সিএবি কতটা আস্থা রাখতে পারছে তা জানি না। আস্থার জায়গা না থাকলেই এই ধরনের ঘটনা হতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন