বুয়েনস আইরেসে মেসির মূর্তি। আগে এবং এখন।
চব্বিশ ঘণ্টা আগে জুরিখে না থেকেও নাটকের মুখ্যচরিত্র ছিলেন তিনি। যে নাটককে বলা যেতে পারে ‘লিওনেল মেসি অন্তর্ধান রহস্য।’
জুরিখ পর্ব মিটতে না মিটতেই অন্য এক নাটকের কেন্দ্রে তিনি। এ বার খোদ আর্জেন্তিনায়, বুয়েনস আইরেসে। যার নাম ‘লিওনেল মেসি মূর্তি রহস্য’।
রোনাল্ডোর নামের পাশে ‘দ্য বেস্ট’ বসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নষ্ট করা হল রাজপুত্রের মূর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে বুয়েনস আইরেসে। শতবর্ষের কোপার পর অবসর নেওয়া মেসিকে ফিরিয়ে আনতে তাঁর মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে দেখা যায় সেই মূর্তির উপরের অংশটা সম্পূর্ণ ভাঙা। শুধু মাত্র দু’টো পা অক্ষত রয়েছে।
এর পরেই দুনিয়া জুড়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, কারা করল এ রকম?
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সমর্থকরাই এই দুষ্কর্ম করেছে কি না, সেটা পরিষ্কার না হলেও ফুটবলবিশ্বের দুই আইকন এবং তাঁদের সমর্থককুলের মধ্যে রেষারেষিটা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার তার কিছুটা আঁচ দিয়ে গেল। এক বছর আগেও যে রেশ ধরা পড়েছিল। মেসি নিজের পাঁচ নম্বর ব্যালন ডি’অর তোলার পর রেহাই পায়নি মেদেইরায় রোনাল্ডোর মূর্তি। স্প্রে পেন্ট দিয়ে লেখা হয় ‘মেসি’। যাঁর পরে রোনাল্ডোর বোন তোপ দেগে বলেছিলেন, ‘‘আমার লজ্জা হয় ভেবে মেদেইরার মতো শহরে এমন খারাপ কাজও কেউ করতে পারে।’’
এ বার অবশ্য মেসি-শিবির থেকে এখনও কোনও প্রতিবাদ আসেনি। কিন্তু ঘটনা হল, সাম্প্রতিক কালে এলএম টেনের খারাপ সময়ে যেন শেষই হচ্ছে না। লা লিগায় স্বপ্নের গোল করলেও তাঁর ক্লাব ড্র করে। লিগ জয়ের দৌড়ে ক্রমে পিছিয়ে পড়ছে বার্সেলোনা। দেশের জার্সিতে পরপর দু’বার হেরেছেন কোপা ফাইনালে। একের পর এক অনুষ্ঠানে রোনাল্ডোকে ট্রফি তুলতে দেখতে হচ্ছে।
নেইমারকে নিয়ে বার্সা প্র্যাকটিসে।
এরই মাঝে জুরিখে না থাকা নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়তে হচ্ছে মেসিকে। প্রথমে বলা হয়েছিল, বার্সেলোনার ম্যাচ আছে বলে ক্লাব ছাড়তে রাজি নয় ফুটবলারদের। কিন্তু এ দিন বার্সা কোচ লুইস এনরিকে পরিষ্কার বলে দেন, ফুটবলাররা নিজেরাই যেতে চাননি।
কিংবদন্তি ফুটবলাররাও তোপ দাগতে ছাড়ছেন না মেসিকে। যে তালিকায় রয়েছেন দিয়েগো মারাদোনাও। ফিফা বর্ষসেরার অনুষ্ঠান শেষে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের নায়ক মারাদোনা ফের কটাক্ষ করলেন মেসির। তাঁর মতে, বাড়িতে টিভির সামনে বসে কোনও কিছুর বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় না। ‘‘আমি খুব হতাশ মেসি জুরিখে না থাকায়। বাড়িতে টিভির সামনে বসে কোনও কিছুর বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় না। এখানে থাকলে করা যেত,’’ বলেছেন মারাদোনা। প্রাক্তন বার্সেলোনা তারকা এখানেই থামেননি। মারাদোনা যোগ করেন, ‘‘আমি জানি না বার্সেলোনার মতো ক্লাব কেন এ রকম এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকল না। সবাই কিছু না কিছুকে গুরুত্ব দেয় আর বার্সার গুরুত্ব হয়তো ছিল মেসিকে জুরিখে না পাঠানো।’’
ছবি টুইটার