উচ্ছ্বাস: চলছে সেরিনা-ঝড়। বৃহস্পতিবার বুশার্ডকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিয়ে কোর্টে উৎসব শুরু। ছবি: গেটি ইমেজেস।
ইউজিনি বুশার্ড একদিন আগেই বলেছিলেন, ‘‘র্যাঙ্কিং একটা কাগুজে বিষয়। সেরিনা (উইলিয়ামস) সব সময়ই আমার কাছে এক নম্বর।’’
কেন বলেছিলেন তা বৃহস্পতিবার টের পেল টেনিস দুনিয়া। কে বলবে, মার্কিন কিংবদন্তির বয়স ৩৭! এই সে দিন কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন। অস্ট্রেলীয় ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে তাঁর সামনে কার্যত উড়ে গেলেন কানাডিয়ান সুন্দরী। টেনিস বিশ্লেষকেরা বরং অবাক, প্রাক্তন উইম্বলডন ফাইনালিস্ট বুশার্ডকে ম্যাচে চারটি গেম জিততে দেখে।
সেরিনার পাখির চোখ মেলবোর্নে অষ্টম খেতাব। সঙ্গে মার্গারেট কোর্টের ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের অনন্য নজির স্পর্শ করা। যে মেজাজে প্রথম রাউন্ডে তাতিয়ানা মারিয়ার বিরুদ্ধে খেলেছেন, বৃহস্পতিবার রড লেভার এরিনাতেও তাঁর খেলায় সেই মেজাজ দেখা গেল।
মরিয়া: চোট নিয়েই জিতলেন সিমোনা হালেপ। ছবি: গেটি ইমেজেস।
বুশার্ডের র্যাঙ্কিং এখন ৭৯। চোটের জন্য বহু দিন কোর্টের বাইরেও ছিলেন। প্রথম গেমে নিজের সার্ভিসে অবশ্য সামান্য ঢিলেমির ভাব ছিল সেরিনার। তার পরেও ২২টি উইনার জিতেছেন। এবং আগাগোড়া খেলেন চ্যাম্পিয়নের মতো। দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সেরিনা শেষ বার অস্ট্রেলীয় ওপেন খেলেছিলেন দু’বছর আগে। তবু ট্রফি নিয়ে যেতে ভুল হয়নি। এ বারও কী তার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে? সেরিনা বলেছেন, ‘‘আপনারা যতটা সহজ আজকের ম্যাচটাকে ভাবছেন, ততটা মোটেই নয়। তা ছাড়া জিনি (বুশার্ডের ডাকনাম) উইম্বলডন ফাইনাল খেলা মেয়ে। চাপ আমারও ছিল। এর মধ্যে ম্যাচও বেশি খেলিনি। নিজের খেলায় পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। মোটামুটি খেলেছি। এর বেশি কিছু বলব না।’’ বৃহস্পতিবার টেনিসের আর এক কিংবদন্তি স্টেফি গ্রাফও বুঝিয়ে দিলেন, সেরিনার কাছে মার্গারেট কোর্টের রেকর্ড ভাঙাটা নিছক সময়ের অপেক্ষা। ‘‘মেলোবর্নেই ও কোর্টকে ধরে ফেলবে কি না আমি বলতে পারব না। তবে একদিন না একদিন নিশ্চয়ই সেই অবিশ্বাস্য রেকর্ড সেরিনা ভেঙে দেবে। ওর সার্ভিস আর খেলা সব সময়েই ভয়ঙ্কর।’’ এ দিকে, চোট নিয়েই আড়াই ঘণ্টা লড়ে তিন সেটের ম্যাচে জিতলেন বিশ্বের এক নম্বর সিমোনা হালেপ। তাঁর সামনে এ বার ভিনাস উইলিয়ামসের চ্যালেঞ্জ।