অনূর্ধ্ব দশে এমন কাণ্ড হতো, কটাক্ষ অশ্বিনের

বেঙ্গালুরু টেস্ট শেষ হয়ে যেতে পারে, কিন্তু আগুনটা জ্বলছেই। এক এক জন ক্রিকেটার মুখ খুলছেন আর বেরিয়ে আসছে স্লেজিংয়ের নানা কাহিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৭ ০৪:৩৬
Share:

আক্রমণ ও জবাব: মুকুন্দকে এ ভাবেই ভয় দেখিয়েছিলেন স্টার্ক আর স্টার্ককে আউট করে এক ভঙ্গি করলেন অশ্বিন। টুইটার

বেঙ্গালুরু টেস্ট শেষ হয়ে যেতে পারে, কিন্তু আগুনটা জ্বলছেই। এক এক জন ক্রিকেটার মুখ খুলছেন আর বেরিয়ে আসছে স্লেজিংয়ের নানা কাহিনি। পাশাপাশি কোনও রকম রাখঢাক না করেই বিপক্ষ দলের ক্রিকেটারদের সম্পর্কে নিজেদের মনোভাব জানিয়ে দিচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। বুঝতে সমস্যা হচ্ছে না, দু’দলের সম্পর্কটা এখন কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

আর. অশ্বিন যেমন। ম্যাচের পরে বিসিসিআই টিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টিভ স্মিথকে একহাত নিয়েছেন ভারতীয় স্পিনার। বলেছেন, ‘‘স্মিথ ঘুরে গিয়ে ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে জানতে চেয়েছিল, রিভিউ নেবে কি না। এ রকম যে সত্যিই কেউ করতে পারে, ভাবা যায় না।’’ এর পরে আরও আক্রমণাত্মক অশ্বিন। বলে দিচ্ছেন, ‘‘এ রকম কোনও ঘটনা আমি বোধহয় শেষ দেখেছিলাম অনূর্ধ্ব-১০ ক্রিকেট ম্যাচে। যখন আমার কোচ বলে দিত, কভার ফিল্ডার আর পয়েন্ট ফিল্ডাররা কোথায় দাঁড়াবে। স্মিথের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে, কিন্তু যা ঘটল সেটা সত্যিই খুব খুব অবাক করে দেওয়ার মতো ঘটনা।’’

অশ্বিনের পাশে দাঁড়িয়ে চেতেশ্বর পূজারা আবার মনে করিয়ে দিলেন তিনি কী ভাবে স্লেজ করেছেন ডেভিড ওয়ার্নারকে। পূজারা এবং স্লেজিং— খুব অপরিচিত জুটি লাগলেও বেঙ্গালুরু টেস্টে কিন্তু এই অচেনা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে। কী করেছিলেন পুজারা? ‘‘ওরা মাঠে প্রচুর কথা বলছিল। তাই আমাদেরও মনে হয়েছিল, কিছু ফিরিয়ে দেওয়া দরকার। এমনিতেই রান তাড়া করতে নেমে ওরা চাপে ছিল। আমি চেয়েছিলাম ওদের আরও বেশি চাপে ফেলতে। বিশেষ করে ওয়ার্নারকে,’’ বলেন তিনি।

Advertisement

সেই কাজটা কী ভাবে করলেন পূজারা? ওয়ার্নার ব্যাট করতে নামতেই পূজারা তাঁর কানের কাছে গিয়ে বলেছেন, ‘‘মনে আছে তো, অশ্বিন তোমাকে কত বার আউট করেছে?’’ ওয়ার্নারের ব্যাপারটা পছন্দ না হওয়ারই কথা। কারণ বেঙ্গালুরুর দু’ইনিংস মিলিয়ে অস্ট্রেলীয় ওপেনারকে তাঁর ক্রিকেট জীবনে ৯ বার আউট করেছেন অশ্বিন।

স্লেজ পর্ব ওয়ার্নারেই শেষ হয়ে যায়নি। অশ্বিন স্বীকার করেছেন, তিনি কী ভাবে মিচেল স্টার্ক এবং ম্যাট রেনশ-কেও স্লেজ করেছিলেন। ‘‘স্টার্ককে যখন অভিনব (মুকুন্দ) পুল করে ছয় মারল, তখন স্টার্ক এসে হেলমেটটা দেখিয়ে ওকে বলল, এর পরে এখানে মারবে। হতে পারে গাব্বায় লোকে ও ভাবে বলে যে, দাঁড়াও তোমার হেলমেটে মারব। কিন্তু এটা তো গাব্বা নয়, বেঙ্গালুরু। তাই আমি এসে স্টার্ককে মনে করিয়ে দিলাম, প্রথম ইনিংসে কী ভাবে আমার বল ওর হেলমেটে লেগেছিল।’’

রেনশ-কেও ছেড়ে দেননি অশ্বিন। বলছিলেন, ‘‘প্রথম দিন ওরা আমাদের প্রচুর কথা শুনিয়েছিল। কারণ, সে দিন আমরা চাপে ছিলাম। বিপক্ষ চাপে থাকলে তাদের অনেক কিছু বলা যায়। প্রথম ইনিংসে রেনশ মাঠে নামার সময় ওকে একটা কথাই বলেছিলাম। ওহে, এই ইনিংসে যদি তোমরা বড় রান তুলতে না পারো, তা হলে আমি কিন্তু তোমাদের সুপ আর মিষ্টি বানিয়ে খেয়ে নেব। আমি খুশি যে, যা বলেছিলাম সেটা করতে পেরেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন