ভারতে পা দিয়েই আগুনটা জ্বালিয়ে দিলেন স্টিভ স্মিথ। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন, প্রয়োজনে আমার ছেলেরা অবশ্যই স্লেজিং করবে।
ভারত-অস্ট্রেলিয়ার আগুনে স্লেজিং যুদ্ধ অবশ্য নতুন নয়। সেই ১৯৮১ সালের সফরে সুনীল গাওস্কর বনাম ডেনিস লিলি লেগেছিল। মেলবোর্নে আম্পায়ার গাওস্করকে বিতর্কিত এলবিডব্লিউ আউট দেওয়ার পরে ভারত অধিনায়ক ক্রিজ ছাড়তে চাননি। তখন লিলি দৌড়ে এসে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন, বলটা গাওস্করের প্যাডের ঠিক কোথায় লেগেছিল। ক্ষিপ্ত গাওস্কর এর পরে সঙ্গী ওপেনার চেতন চৌহানকে নিয়ে প্রায় ওয়াক আউট করেন। এ তো গেল আশির দশকের কথা। বছর দশেক আগে হরভজন সিংহ বনাম অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের সেই মাঙ্কিগেট বিতর্কের স্মৃতি তো এখনও টাটকা।
আগের দিন বিরাট কোহালি বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার জন্য আমরা তৈরি। এ দিন দেখা গেল, বিরাট-হুঙ্কারের জবাব তৈরি আছে অস্ট্রেলিয়ারও। মুম্বইয়ে সাংবাদিকদের স্মিথ বলেছেন, ‘‘আমার টিমের সবাই নিজের নিজের মতো করে খেলে। ওরা যদি মনে করেন স্লেজিং করলে কোনও কাজ হবে, স্লেজিং করলে ওরা নিজেদের তাতাতে পারবে, সেরাটা বার করে আনতে পারবে, তা হলে অবশ্যই স্লেজিং করুক,’’ বলেছেন স্মিথ।
ভারতে আসার আগে স্মিথ বলেছিলেন, তাঁর গেমপ্ল্যান থাকবে কোহালিকে রাগিয়ে দেওয়া। দেখা যাচ্ছে, শুধু কোহালি নয়, টিম ইন্ডিয়ার বেশ কয়েক জন ক্রিকেটারও অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের নজরে আছেন। স্মিথ পরিষ্কার বলছেন, ‘‘যার যা ইচ্ছে মাঠে সেটা বলতেই পারে। তবে শেষ কথা অবশ্যই পারফরম্যান্স।’’
ভারত অধিনায়ককে নিয়েও তাঁদের গেমপ্ল্যান যে তৈরি, বলছেন স্মিথ। ‘‘বিরাট ওয়ার্ল্ড ক্লাস প্লেয়ার। আমরা অবশ্যই ওর জন্য আলাদা প্ল্যান নিয়ে নামব। সেটা কী, তা তো আর আপনাদের বলার প্রশ্ন নেই। আর শুধু বিরাট কেন, ভারতের প্রথম ছ’জনই তো যথেষ্ট শক্তিশালী ব্যাট। আমরা সেটাও মাথায় রাখছি,’’ সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন তিনি।
একই সঙ্গে শুধু স্পিনাররাই নয়, অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের মাথায় রয়েছে ভারতের পেস আক্রমণের কথাও। স্মিথ বলছিলেন, ‘‘শুধু স্পিনারদের কথাই বলছেন কেন, ভারতের পেস আক্রমণও তো খুব ভাল।’’ স্পিনারদের খেলার জন্য যে তাঁর ব্যাটসম্যানেরা শ্রীধরন শ্রীরাম এবং মন্টি পানেসরের টিপস নিয়ে এসেছেন, সেটা জানিয়ে দিয়েছেন স্মিথ।
সূচি অনুযায়ী, ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া শুরু হওয়ার কথা ২৩ ফেব্রুয়ারি পূণেতে। কিন্তু যুদ্ধটা স্মিথ তার সপ্তাহ খানেক আগে, মুম্বইয়ে বসেই শুরু করে দিলেন।