ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুটো টি-টোয়েন্টির এই সিরিজটা যে ভারত হারল, সেটা ওদের দুর্ভাগ্য। দুটো টিমের মধ্যে যে লড়াইটা হয়েছিল, সিরিজের ফল দেখে সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে না। প্রথম ম্যাচের শেষ ওভারটা বাদ দিলে ভারত নিঃসন্দেহে তাদের প্রতিপক্ষের চেয়ে বেশি ভাল খেলেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বোলিং দারুণ ছিল। বৃষ্টিটা না হলে ভারত নিশ্চয়ই রান তাড়া করে দিত।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অমিত মিশ্রের সাফল্যে আমি একটুও অবাক হইনি। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ভারতের উচিত লেগস্পিনার খেলানো। বিশেষ করে উপমহাদেশের বাইরের টিমের বিরুদ্ধে। এটা বলছি কারণ, ওদের বৈচিত্র উইকেট তুলতে সাহায্য করে। যেটা টি-টোয়েন্টিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। কোনও না কোনও সময় নির্বাচকদের উচিত কুলদীপ যাদব বা মুরুগন অশ্বিনের মতো বোলারদের সুযোগ দেওয়া। কারণ ওদের বোলিংয়ে নতুনত্ব আছে আর ব্যাটসম্যানের মনে ওরা অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র সফর যত ছোটই হোক না কেন, এর মধ্যেও লোকেশ রাহুল দেখিয়ে দিল ও কত উঁচু মানের প্লেয়ার। এটাও বুঝিয়ে দিল যে, সব ফর্ম্যাটের টিমে সুযোগ পাওয়াটা ওর প্রাপ্য। প্রথম ম্যাচে ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে দেখে মনে হল ও ভাল ছন্দে রয়েছে। শেষ ওভারে ম্যাচ ফিনিশ করতে না পারায় ধোনি নিশ্চয়ই প্রচণ্ড হতাশ।
ঠিক যেমন সিরিজ ১-১ করতে না পেরে হতাশ হওয়ার কথা ভারতের। ম্যাচটা ওদের মুঠোয় ছিল, আর ওদের জেতার কথা ছিল। ভারতীয় টিম এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিল। আমি মনে করি এই দেশে ভবিষ্যতে আরও অনেক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন হবে। ভারতীয় বোর্ড এটা একটা ভাল কাজ করেছে। দ্বিতীয় ম্যাচটা বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর ওখানকার পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু ভারত বা অন্যান্য টিম এক বার নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়া শুরু করলে ব্যবস্থাপনা সব আরও উন্নত হবে। বড় বড় টিমগুলোরও এ বার যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার সময় এসেছে।