আইএসএলের লিগ পর্যায়ে এ বার ভালো লড়াই হলেও সে ভাবে বেশি গোল আসেনি। বেশি প্রাধান্য দেখা গিয়েছে ডিফেন্সের। হয়তো সে জন্য গত বারের থেকে ৩৭টা গোল কম হয়েছে। এ বার ভারতীয় গোল স্কোরারদের সংখ্যাও কমেছে।
মুম্বইয়ের যেমন জ্যাকিচন্দ-ই একমাত্র ভারতীয় স্কোরার। এটিকের আবার এ পর্যন্ত কোনও ভারতীয় প্লেয়ারের গোল নেই। যেটা ভারতীয় সমর্থকদের জন্য সুখবর নয়। দুটো দলই অবশ্য লিগে ১৬ গোল করেছে। তবে ডিফেন্সের দিক থেকে দু’দলে একটা পার্থক্য আছে। মুম্বই যেখানে মাত্র আট গোল খেয়েছে, সেখানে এটিকে খেয়েছে ১৪টা।
সব মিলিয়ে মুম্বইকে অনেক শক্তিশালী আর দল হিসেবে কমপ্লিট লাগছে আমার। ওদের অ্যাটাক যে রকম দারুণ, তেমনই ডিপ ডিফেন্স। আক্রমণে ফোরলান যে ভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে, যে কোনও বিপক্ষের কাছে তা বিপদ ডেকে আনতে পারে। সুনীল ছেত্রী অবশ্য ভাল পারফর্ম করলেও এখনও গোল পায়নি। তবে একজন স্ট্রাইকার চার-পাঁচ ম্যাচ গোল না পেলে তার গোলের খিদে বেড়ে যায়। সেমিফাইনালে মুম্বইয়ের জন্য সেটা একটা আশার খবর। সুনীল ম্যাচ উইনার। আশা করি বাকি ম্যাচগুলোয় ও গোল পাবে।
এটিকে ওদের বিদেশিদের উপর বেশি, বা বলা উচিত পুরোপুরি নির্ভরশীল। গত বার এটিকের ভারতীয় ফুটবলারদের বেশ কিছু ভাল পারফরম্যান্স দেখা গিয়েছিল। এ বছর ছবিটা অন্য। বিদেশিরা এটিকেকে টানছে। তবে এটাও বলতে হবে, মাঠে বিদেশি ফুটবলারদের দল হিসেবে জমে যাওয়ার দিক থেকে এটিকের ভাগ্য খুব ভাল। তার উপর পস্টিগা নকআউটে ফিট থাকলে তো ওদের সোনায় সোহাগা।
এটিকের বিদেশি ফুটবলারদের অভিজ্ঞতা মুম্বইকে সমস্যায় ফেলে দেবে। এটিকে-কে হারানো কিন্তু কঠিন। হিউম, দ্যুতি, পস্টিগা, বোরহার ব্যক্তিগত দক্ষতা যে কোনও সময় বিপক্ষকে চাপে ফেলে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। তবে এটিকে-কে ডিফেন্সের দিকে আরও নজর দিতে হবে। তার জন্য বোরহা আর পিয়ারসনকে মাঝমাঠে অনেক বেশি দায়িত্ব দিতে হবে, যাতে ফোরলান ইচ্ছে মতো নড়াচড়া করতে না পারে। শনিবার হয়তো রবীন্দ্র সরোবরের এই অঞ্চলটার উপর ম্যাচের ভাগ্য নির্ভর করবে!
(টিসিএম)