সুচেতা-হত্যা মামলায় কোর্টে আনা হল গাড়ি

মা ও মেয়ের দেহ ব্যাগে ভরে যে গাড়ি ভাড়া করে সমরেশ সরকার এনেছিলেন বলে অভিযোগ, সোমবার সেটি শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করালেন গাড়িচালক শেখ নিয়াজুদ্দিন। গত বুধবার এবং সোমবার শ্রীরামপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক রাজা চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে সাক্ষ্য দেন নিয়াজুদ্দিন। তিনি জানান, গত বছর ২৮ অগস্ট ভাই অটোচালক ইয়াজুদ্দিনকে সমরেশ বলেছিলেন, তাঁর একটি অটো লাগবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৬ ০২:১৭
Share:

মা ও মেয়ের দেহ ব্যাগে ভরে যে গাড়ি ভাড়া করে সমরেশ সরকার এনেছিলেন বলে অভিযোগ, সোমবার সেটি শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করালেন গাড়িচালক শেখ নিয়াজুদ্দিন।

Advertisement

গত বুধবার এবং সোমবার শ্রীরামপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক রাজা চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে সাক্ষ্য দেন নিয়াজুদ্দিন। তিনি জানান, গত বছর ২৮ অগস্ট ভাই অটোচালক ইয়াজুদ্দিনকে সমরেশ বলেছিলেন, তাঁর একটি অটো লাগবে। পরে সিদ্ধান্ত বদল করে জানান, অটো নয় চার চাকার গাড়ি লাগবে। তখন ইয়াজুদ্দিনই দাদা নিয়াজুদ্দিনকে সমরেশের ভাড়া পাইয়ে দেন। সমরেশের কথা মতো পরের দিন ভোরে নিয়াজুদ্দিন গাড়ি নিয়ে বিধাননগর আবাসনের সামনে যান। সেখান থেকে সমরেশ চারটি ব্যাগ নিয়ে তাঁর গাড়িতে ওঠেন। ১২০০ টাকা ভাড়ায় তাঁকে বর্ধমান স্টেশ‌নে পৌঁছে দেন। সোমবার সেই গাড়িটি শ্রীরামপুর আদালতে আনেন নিয়াজুদ্দিন। বিচারক রাজা চট্টোপাধ্যায় এজলাস থেকে বেরিয়ে আদালত চত্বরে রাখা গাড়িটি দেখে যান।

অভিযোগ, গত বছরের অগস্ট মাসে সমরেশ সরকার দুর্গাপুরের বিধাননগর আবাসনে সুচেতা চক্রবর্তী ও তাঁর মেয়ে দীপাঞ্জনাকে খুন করেন। সুচেতার দেহ বঁটি দিয়ে তিন টুকরো করে কেটে তিনটি ব্যাগে ভরেন। দীপাঞ্জনার দেহ ভরেন অন্য একটি ব্যাগে। তার পরে সেগুলি ব্যারাকপুর থেকে শেওড়াফুলির মাঝে গঙ্গায় ফেলে দেন যাত্রীবাহি ভুটভুটি থেকে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন