Sunil Gavaskar

জাডেজা-অশ্বিনকে দলে দেখছেন সানি

অফস্পিনার আর অশ্বিন এবং বাঁ-হাতি স্পিনার জাডেজা দলে থাকা মানে ভারতের ব্যাটিংও যে শক্তিশালী হয়ে উঠবে, সেটা মনে করিয়ে দিচ্ছেন গাওস্কর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২১ ০৫:৪২
Share:

ফাইল চিত্র।

সাউদাম্পটনে এখন প্রচণ্ড গরম। যে কারণে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের চূড়ান্ত একাদশে আর অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাডেজাকে দেখছেন সুনীল গাওস্কর।

Advertisement

ফাইনালের ধারাভাষ্য দিতে গাওস্কর এখন সাউদাম্পটনে রয়েছেন। সেখান থেকে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক সাক্ষাৎকারে ভারতের কিংবদন্তি ওপেনার বলেছেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে সাউদাম্পটন একেবারে ফুটছে গরমে। এখানকার পিচ শুকনো হবে। খেলা যত গড়াবে, স্পিনাররাও তত সাহায্য পাবে। তাই আমি নিশ্চিত, অশ্বিন এবং জাডেজা— দু’জনেই টেস্ট ফাইনালের চূড়ান্ত এগারোয় থাকবে।’’ সাউদাম্পটনে ফাইনাল শুরু শুক্রবার থেকে। যদিও বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে।

অফস্পিনার আর অশ্বিন এবং বাঁ-হাতি স্পিনার জাডেজা দলে থাকা মানে ভারতের ব্যাটিংও যে শক্তিশালী হয়ে উঠবে, সেটা মনে করিয়ে দিচ্ছেন গাওস্কর। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের কথায়, ‘‘ওরা দু’জন দলে আসা মানে ব্যাটিংয়ের গভীরতা বাড়বে। পাশাপাশি বোলিংয়ে বৈচিত্রও আসবে।’’ যোগ করেন, ‘‘ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে অবশ্য দুই স্পিনার খেলবে কি না, তা নির্ভর করবে আবহাওয়া এবং পিচের উপরে।’’

Advertisement

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিতে মাঠে নামছে নিউজ়িল্যান্ড। অনেকেই মনে করছেন, এই বাড়তি প্রস্তুতি ফাইনালে নিউজ়িল্যান্ডের কাজে আসবে। গাওস্কর কিন্তু একমত নন। প্রাক্তন ওপেনারের কথায়, ‘‘এখনকার দিনে কোনও দলই বিদেশ সফরে গিয়ে বেশি প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলে না। আর ভারতীয় দল নিজেদের মধ্যে প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলেছে। ফলে ওদের প্রস্তুতিটা হয়ে গিয়েছে।’’ গাওস্কর এও বলেন, ‘‘এই দলের অনেকেই আগে ইংল্যান্ড সফরে এসেছে। ফলে আবহাওয়া, পরিবেশ সম্পর্কে ওরা ভালই ওয়াকিবহাল।’’

গত কয়েকটা সিরিজে অশ্বিন নিজেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার হিসেবে তুলে ধরেছেন। গাওস্কর নিজে এরাপল্লি প্রসন্নের মতো অফস্পিনারের সঙ্গে খেলেছেন। হরভজন সিংহের মতো অফস্পিনারের খেলা দেখেছেন। এই তিন জনের তুলনা করে তিনি বলছেন, ‘‘প্রসন্নকে ধূর্ত শৃগাল বলা হত। ব্যাটসম্যানদের ফাঁদে ফেলতে ওর জুড়ি ছিল না। ওর অফস্পিনটা বিভিন্ন মাত্রায় ঘুরত। একটা ফ্লোটার ছিল, যা বুঝতে না পেরে ব্যাটসম্যানরা বোল্ড হত। হরভজনের হাতেও ভাল বৈচিত্র ছিল। পাশাপাশি ওর হাতে দুসরাটাও ছিল। যা লেগস্টাম্প থেকে অফস্টাম্পের দিকে দ্রুত ঘুরত। দারুণ বোলার ছিল হরভজন।’’

অশ্বিন নিয়ে সানির পর্যবেক্ষণ, ‘‘ওর হাতে এই ধরনের বলগুলো তো আছেই, পাশাপাশি ক্যারম বলও করতে পারে। এমনকি, লেগস্পিন করার ক্ষমতাও দেখিয়েছিল অশ্বিন।’’

ইংল্যান্ডের পিচে বল নড়াচড়া করলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সমস্যা হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। এ ব্যাপারে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির উদাহরণ দিয়ে গাওস্কর বলেছেন, ‘‘নিষ্প্রাণ পিচেও কোহালি অনেক দেরিতে শট খেলে। বলের উপরে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চোখ রেখে, সুইংটাকে নির্বিষ করে দেয়। সে জন্য কোহালি যে কোনও ধরনের পিচেই সফল।’’ ইংল্যান্ডের মাটিতে শট নির্বাচন যে সাফল্যের একটা চাবিকাঠি হবে ব্যাটসম্যানদের কাছে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন গাওস্কর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন