সুনীল নারিন ও ব্র্যাড হগকে একসঙ্গে খেলানোর আইডিয়াটা অসাধারণ। দু’জনেই ম্যাচ উইনার বোলার। দু’জনেই যেমন শুরুতে বোলিং করতে পারে, তেমনই শেষের ওভারগুলোতেও ওদের দিয়ে বল করানো যায়। শুধু নারিন দলে থাকলে যেমন বিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা রান তোলার জন্য আগে ১৬ ওভার পেত, তেমন নারিন-হগ একসঙ্গে খেলায় ওরা তো এখন ১২ ওভার পাবে! যদিও বৃহস্পতিবার শেষ দিকে হগ এক ওভারে ১৭ রান দিল। কিন্তু ততক্ষণে দিল্লি ম্যাচ হেরে বসে আছে। তখন ব্যাটসম্যানরা এ রকম মরিয়া হয়ে মারবেই। নারিনও এ দিন ৩০ দিল। কিন্তু ওই যে বললাম, নিছক পরিসংখ্যানে ওদের মাপা ঠিক হবে না। ছাড়পত্র পেয়েই নারিনকে প্রথম এগারোয় নিয়ে চলে আসার সিদ্ধান্তটা খুবই ভাল। ও যদি বেশি মারও খেয়ে যেত, তা হলেও কেকেআরের সমস্যা হত না। গম্ভীরের হাতে ছ’টা বোলার— হগ, চাওলা, বোথা, ইউসুফ, রাসেল, উমেশ। এই দুশ্চিন্তা না থাকার জন্যই নারিন-ফাটকাটা খেলার সুযোগ পেল গম্ভীর। আর দেখুন, নারিন উইকেট পেল না, হগ একটা পেল। কিন্তু চাওলা চারটে তুলে নিয়ে চলে গেল। হাতে এই বিকল্প থাকাটাই নাইটদের প্লাস পয়েন্ট।
আমার মনে পড়ছে কোনও এক সাংবাদিক বৈঠকে গম্ভীর বলেছিল, নারিন সোজা বল করলেও তাকে খেলাবে। ওটা যে ফাঁকা আওয়াজ নয়, সত্যিই যে গম্ভীর তার কথা রেখেছে, সে জন্য ওর প্রশংসা না করে পারা যাচ্ছে না।
আসলে নারিনের ম্যাচ প্রাকটিসটা জরুরি ছিল। বিসিসিআইয়ের ক্লিয়ারেন্সটা আসার সঙ্গে সঙ্গে ওকে ম্যাচে নামিয়ে দিয়ে নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট বুঝিয়ে দিল, নারিনের উপর দলের কতটা আস্থা। এটা কিন্তু নারিনের আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দেবে অনেকটাই। টুর্নামেন্টের বিজনেস এন্ডে এই জুটিটা কিন্তু ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।
পরের ম্যাচগুলোর কম্বিনেশন নিয়ে কেকেআর-কে বেশি ভাবতে হবে না বোধহয়। ইডেনে তো নয়ই। মুম্বইয়ের জোড়া ম্যাচে ও প্লে অফের ম্যাচগুলোতেও না। কারণ ম্যাচ জেতানোর কম্বিনেশন পেয়ে গিয়েছে কেকেআর। এই নিয়েই খেতাব ধরে রাখার লড়াই লড়া যাবে মনে হচ্ছে।