Sushil Kumar

কুস্তিগীর হত্যাকাণ্ড: ১৮ দিন লুকিয়ে থাকা অলিম্পিক্স পদকজয়ী সুশীল অবশেষে ধৃত

২৩ বছরের তরুণ কুস্তিগীর সাগর রানার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সুশীল। দিল্লি পুলিশের দাবি এর পর সুশীল পঞ্জাবের ভাটিন্ডায় লুকিয়ে ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২১ ২১:৫৩
Share:

খুনের ১৮ দিন পর পুলিশের জালে ধরা দিলেন সুশীল কুমার। ফাইল চিত্র

গত কয়েক দিন একাধিক রাজ্যে পালিয়ে থাকার পর অবশেষে শনিবার সন্ধের দিকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন অলিম্পিক্সে জোড়া পদক জয়ী কুস্তিগীর সুশীল কুমার। তাঁর সহযোগী অজয় কুমারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সুত্রের খবর, ‘‘পঞ্জাবের জলন্দরের কাছাকাছি জায়গা থেকেই গ্রেফতার করা হয় কুস্তিগীর ও তাঁর সহযোগীকে।’’ শনিবার এই দুজনকে পঞ্জাব পুলিশ আটক করার পর দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই দুজনকে নয়াদিল্লিতে নিয়ে আসা হচ্ছে।

Advertisement

২৩ বছরের তরুণ কুস্তিগীর সাগর রানার হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত সুশীল। দিল্লি পুলিশের দাবি এর পর সুশীল পঞ্জাবের ভাটিন্ডায় লুকিয়ে ছিলেন। তাঁকে খুঁজে বের করার জন্য দিল্লি পুলিশের পাশের রাজ্য পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশের একাধিক জায়গায় চিরুনি তল্লাসি চালাচ্ছিল।

গত ৪ মে দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামে সাগর রানাকে খুনের অভিযোগে জড়িয়ে পড়েছেন সুশীল। বেশ কিছু কুস্তিগীরের মধ্যে ঝগড়া এবং তা থেকে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমশ আয়ত্তের বাইরে যেতে থাকে। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে নির্মমভাবে আঘাত করতে থাকে বলে অভিযোগ। ক্রমশ বাড়তে থাকে হিংসা। তাতেই ওই কুস্তিগীরের মৃত্যু হয়েছে বলে উত্তর দিল্লি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।

Advertisement

সাগর রানা নামক ওই কুস্তিগীরের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছিল ছত্রাসাল স্টেডিয়ামের উত্তর দিকে। পুলিশ সুত্রে জানানো হয়েছে সুশীল,অজয়, প্রিন্স, সনু, সাগর, অমিত এবং আরও কয়েকজন কুস্তিগীরের মধ্যে ঝগড়া এবং মারামারি হয় স্টেডিয়ামের গাড়ি রাখার জায়গায়। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় সাগরের। সেই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও ২ কুস্তিগীর। ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যেকের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।

যদিও তারপর থেকেই ভারতের এই তারকা কুস্তিগীর ফেরার ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। দিল্লি হাইকোর্টে সুশীল আগাম জামিনের আবেদনও জানান। সেই আবেদন অবশ্য খারিজ হয়ে যায়। দিল্লি পুলিশ ঘোষণা করে কেউ যদি পলাতক অলিম্পিয়ানের খবর দিতে পারেন, তাহলে তাঁকে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। আর এ দিন শেষ পর্যন্ত এই কুস্তিগীর পুলিশের কাছে ধরা দিলেন।

২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সে ৬৬ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন সুশীল। এর ঠিক চার বছর পর ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক্সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন তিনি। সেবার অবশ্য রুপো জিতে নেন তিনি। তবে খুনের কাণ্ডে জড়িয়ে দেশ ও নিজের একরাশ লজ্জা বাড়ালেন এই তারকা কুস্তিগীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন