নিজেদের ঘরের মাঠে ব্যাগি গ্রিনকে ২০ রানে পরাজিত করে সাকিবদের বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বুধবার বাংলাদেশ। পরপর দু’দিনে তথাকথিত দুই দুর্বল টেস্টখেলিয়ে দল বুঝিয়ে দিল, ক্রিকেট এখনও অনিশ্চয়তার খেলা। আগের দিন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন শাই হোপ। এ দিন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক জয় এনে দিলেন সাকিব আল হাসান।
দুই ইনিংসে দশ উইকেট পান সাকিব। করেন ৮৪ রানও। কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই তারকা অলরাউন্ডার হয়ে উঠলেন জাতীয় দলেরও সাফল্যের নায়ক। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ২০ রানে এই নাটকীয় জয়ে সারা দেশে আনন্দের জোয়ার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট জয়ের পরে মুশফিকদের ড্রেসিংরুমে জয়োল্লাসও ছিল লাগামছাড়া। সবাই ব্যাট হাতে ম্যাসাজ টেবল পেটাতে পেটাতে গান ধরেন, ‘‘আমরা করব জয়, আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন...।’’
দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ২৬৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া একটা সময় ছিল ১৫৮-২। সেখান থেকে সাকিবের ঘূর্ণির দাপটে ২৪৪ রানে শেষ হয়ে যায়। মিরপুরের ঘূর্ণি উইকেটে মাত্র ৮৬ রানের মধ্যে ধস নামে স্মিথদের ইনিংসে। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের ১১২ রানের ইনিংস বিফলে যায় সতীর্থদের ব্যর্থতায়। সাকিবের সতীর্থ ওপেনার তামিম ইকবালও দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৭১ ও ৭৮ রান করেন। দু’জনেরই এটা ৫০তম টেস্ট।
দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এ দিন জয়ের পরে বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্বাস ছিল, এই ম্যাচ আমরা জিততে পারি। এমন উইকেটে ২৬৫ রান করাটা বেশ কঠিন ছিল।’’ আর জয়ের নায়ক সাকিব বলছেন, ‘‘আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা আমার স্ত্রী (উম্মি আহমেদ শিশির)। কাজটা কঠিন, জানতাম। কিন্তু জেতার বিশ্বাসটাও ছিল। তা হলে ওরা চাপে পড়ে যাবে।’’ শেষ পর্যন্ত সাকিবের এই মন্ত্রেই এল ঐতিহাসিক জয়।