টিম ইন্ডিয়া যখন প্লে-স্টেশনের ভক্ত। কোহালির সঙ্গে ভুবনেশ্বর, শার্দুল ঠাকুর এবং পূজারা। দর্শক ধবন। ছবি: টুইটার
হাই ফাইভ।
একে অন্যের পিঠ চাপড়ে দেওয়া।
স্মরণীয় মুহূর্তকে ক্যামেরা বন্দি করে রেখে ক্রিকেটারদের কোচের অভিন্দন বার্তা।
এবং জয়ের পরের দিন কাছের রেস্তোঁরা থেকে ভারতীয় খাবার আনিয়ে একটু খাওয়া-দাওয়া। আর সব শেষে ক্রিকেট-যুদ্ধ জিতে উঠে নিজেদের মধ্যে ফুটবল-যুদ্ধে নেমে পড়া। কোহালি-ভুবনেশ্বর-পূজারারা তো প্লে স্টেশনে ফিফা গেমস খেলতে নেমে পড়লেন!
না, ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে বিদেশে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জিতেও কোহালির সংসারে বল্গাহীন উৎসবের ছবি নেই। যা আছে, পুরোটাই শান্ত উৎসবযাপন ও হালকা রিল্যাক্সেশন।
আসলে নিছক এক-আধটা টেস্ট জয় নয়, বিরাট কোহালির ভারত এখন চাইছে টেস্ট ক্রিকেটে গোটা ক্রিকেটদুনিয়ার উপর রাজত্ব করতে। চাইছে, জয়কে নিজেদের সিস্টেমে আর পাঁচটা দৈনন্দিন কাজকর্মের মতো করে নিতে, জয়ের এমন এক পরম্পরা গড়ে তুলতে যেখানে শব্দটাই টিমে ছোঁয়াচে হয়ে যাবে! কোহালি তো জেতার পর সেটা বলেও দিলেন। ‘‘আমরা জেতার অভ্যেসটা এ বার করতে চাই। জয় ব্যাপারটা আসলে ছোঁয়াচে। আমরা টেস্ট কী ভাবে জিততে হয় শিখে গেলে এখন আমাদের শিখতে হবে কী করে দুনিয়ার সর্বত্র টেস্ট জিততে হবে। আমরা চাই, ভারতকে এমন একটা দল হিসেবে দুনিয়া চিনুক যাদের কাছে টেস্ট জেতাটা ধারাবাহিক ব্যাপার।’’ এবং ভারত অধিনায়ক এখানে থামেনওনি। সুযোগ পেলে চলতি সিরিজ যে ৪-০ জিতে নেবেন, তা-ও শুনিয়ে রেখেছেন। ‘‘কেন সেটা ভাবব না? আমরা যদি পরের টেস্ট জিতে ২-০ এগিয়ে যাই, তা হলে নিশ্চয়ই শেষ দু’টো টেস্ট ড্রয়ের জন্য খেলব না।’’
বিরাটের নেতৃত্বে ভারত যে তা করতেও পারে, প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিচ্ছেন প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান পেসার ইয়ান বিশপও। বলেছেন, ‘‘আসলে বিরাট এমন ভাবে নেতৃত্ব দেয় যে, ওর ব্যক্তিত্বটা তার মধ্যে ফুটে ওঠে। বিরাট আগ্রাসী, মাঠে নানা পরিবর্তন করতে থাকে। ও মাঠে বসে থাকার ক্যাপ্টেন নয়।’’ তা যে নয়, কোহালির নিজের কথাতেও পরিষ্কার। নিজের ফিল্ড প্লেসিং নিয়ে বলতে গিয়ে কোহালি তো বলে দিয়েছেন যে, ব্যাটসম্যান কী ভাবে খেলতে পারে তা নিয়ে আগে তিনি মনে মনে ভাবেন। তার পর ফিল্ডটা সাজান! শুধু দু’টো জিনিস ঠিক করতে চান বিরাট। এক, লাঞ্চ বা চা বিরতির আশপাশে যে উইকেটগুলো পড়ছে তা বন্ধ করতে। আর প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লেজকে দ্রুত আউট করতে। যা অ্যান্টিগা টেস্টে ভারতের জয়কে সোমবার বিলম্বিত করে দিয়েছিল।