—ফাইল চিত্র।
ওয়ান ডে-র মতো টি টোয়েন্টি সিরিজেও অস্ট্রেলিয়ার দুঃসময় চলতে থাকলে অবাক হব না। এ বার ফর্ম্যাটটা আরও ছোট। ফলে দু’পক্ষের ফারাকটাও কমে আসবে। কিন্তু যে জায়গাটা আসল, সেই মানের তফাতে আর তেমন পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। সে দিক থেকে ভারত এগিয়েই সিরিজ শুরু করবে।
আশিস নেহরার প্রত্যাবর্তন আমার কাছে বেশ খুশির খবর। আশিস আর বুমরার বোলিং জুটি কিন্তু টি টোয়েন্টিতে যথেষ্ট ধারালো হয়ে উঠতে পারে। যেহেতু ও বাঁহাতি বোলার, তাই ব্যাটসম্যানদের একটা ভিন্ন ‘অ্যাঙ্গল’ তৈরি করে বল করতে পারে আশিস। এই দুই পেসারের পাশাপাশি ভারতীয় স্পিনাররাও ফের অস্ট্রেলীয়দের কাছে দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে উঠতে চলেছে।
স্পিনের বিরুদ্ধে ভাল ব্যাট করার বিদ্যেটা যত তাড়াতাড়ি রপ্ত করা যায়, ততই ভাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় হল, অস্ট্রেলিয়ার এই তরুণ ব্যাটসম্যানরা এই ব্যাপারে বেশ পিছিয়েই রয়েছে। দেখে অবাক হচ্ছি যে, ওদের শট বাছাই খুব সাধারণ মানের। বিশেষ করে স্পিনের বিরুদ্ধে। আসলে ভিভিএস লক্ষ্মণ ছাড়া আর কাউকে দীর্ঘদিন ধরে স্পিনারদের ধারাবাহিক ভাবে বড় শট নিতে দেখিনি আমি।
কিন্তু একই কন্ডিশনে একই ভুল বারবার কী করে হয়, তা ভেবে পাচ্ছি না। ট্রাভিস হেড, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের এ বার উঠে দাঁড়ানোর সময়। ওদেরই এ বার উদ্যোগ নিয়ে ভারতকে পাল্টা চাপে ফেলা উচিত। ওদের দলের একমাত্র মার্কাস স্টয়নিস ছাড়া তো আর কাউকে ভারতে এসে উন্নতি করতে দেখলাম না। ওকে দেখে বরং শিখুক ওর সতীর্থরা।
ওয়ান ডে সিরিজে সেরা বোলিং করা পেসার প্যাট কামিন্সকে পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। ওকে শুনলাম অ্যাশেজের জন্য ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে শুনলাম। কিন্তু অ্যাশেজ তো ৫০ দিন পরে শুরু। এখনই তার জন্য তৎপরতা কেন? তা হলে কি অজিরা ধরেই নিয়েছে যে, এই উপমহাদেশ সফরে ওরা আর ভাল কিছু করতে পারবে না, তাই অ্যাশেজে মন দেওয়াই ভাল? এখানে এসে শেষ ১৫টার মধ্যে ১৪টা ম্যাচেই ওরা হেরেছে। স্টিভ স্মিথের উপর এই চাপটা প্রবল।
এই সিরিজে ভারতই ফেভারিট। সে ওরা দলে যাকেই নিক বা না নিক। তাতে কিছু আসে যায় না।