দুই প্রধানের ভাগ্য নির্ধারণ হয়তো কাল

শনিবার সেই ঝামেলা আপাতত মেটার একটা রূপরেখার দেখা মিললেও মিলতে পারে। কারণ এ এফ সি-র নির্দেশ মেনে ১০ জুন ক্লাবগুলির মত জানতে সভায় বসছেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৭ ০৪:০৮
Share:

কলকাতা, দিল্লি, কুয়ালা লামপুর—সভার পর সভা হয়েই চলেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আই লিগ এবং আই এস এল নিয়ে তৈরি হওয়া জট খোলেনি।

Advertisement

কিন্তু শনিবার সেই ঝামেলা আপাতত মেটার একটা রূপরেখার দেখা মিললেও মিলতে পারে। কারণ এ এফ সি-র নির্দেশ মেনে ১০ জুন ক্লাবগুলির মত জানতে সভায় বসছেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল। দিল্লিতে ওই সভায় আই লিগের ক্লাবগুলিকে ডাকা হয়েছে। ডাকা হতে পারে আইএমজিআরের কর্তাদেরও।

বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বইয়ের সাত তারা হোটেলে ঝলমলে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আগে কর্মসমিতির সভা ছিল ফেডারেশনের। সেখানে স্পনসর আইএমজি আরের দুই প্রতিনিধি চিরাগ তান্না ও রোবাক লাফার্জি আইএসএল নিয়ে ফেডারেশনকে সিদ্ধান্ত নিতে চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু তাদের চেষ্টা চাপা পড়ে যায় শিলং লাজং এর লারসেন মিং এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্তের পাল্টা বক্তব্যে। আই লিগের ক্লাবেদের যুক্তি তুলে ধরে মিং-ই অবশ্য সরব ছিলেন বেশি।

Advertisement

তবে এ দিনের মিটিংয়ে যাতে আই লিগ ও আইএসএল নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় তা নিয়ে সকাল থেকেই দৌত্য শুরু করেছিলেন আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ফেডারেশন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দু’বার ফোনে কথা বলেন। প্রফুল্লকে তিনি বোঝান ক্লাবের সঙ্গে কথা না বলে কোনও সিদ্ধান্ত না নিতে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও আইএমজি আরের চাপের মুখে নতুন চাল দেন প্রফুল্ল। তিনি সভায় বলে দেন, দু’দিনের মধ্যে ক্লাবেদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন। সভায় বিশেষ আমন্ত্রিত হিসাবে ডাকা হয়েছে উৎপলবাবুকে। পরিস্থিতি যা তাতে, স্পনসরদের চাপে দ্রুত ফেডরেশনকে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। কারণ আই লিগের ক্লাবেদের চাপে আইএসএল-এর সবকিছু বন্ধ হয়ে রয়েছে। তাই বিদেশ যাওয়ার আগে বাধ্য হয়েই সিদ্ধান্ত জানিয়ে যেতে হবে প্রফুল্লকে।

কিন্তু কী হতে পারে এই মরসুমে ভারতীয় ফুটবলের রোড ম্যাপ? এ এফ সি চারটি রাস্তার কথা বলেছে কুয়ালা লামপুরের সভায়। এক) দুটো লিগ এক করে ১৬ দলের টুর্নামেন্ট হতে পারে। দুই) দুটি লিগ তিন মাস, তিন মাস করে ভাগ করে হোক। তিন) পাশাপাশি চলুক দু’টো লিগ। চার) দু’টো লিগের প্রথম চারটি দলকে নিয়ে হোক সুপার কাপ। সেখান থেকেই এ এফ সি-তে কে খেলতে যাবে ঠিক হোক।

আরও পড়ুন: কোস্তাকে বার্তা কন্তের, তোমাকে প্রয়োজন নেই

এর মধ্যে কোনটা এ বছরের জন্য বাছবেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট? শোনা যাচ্ছে, স্পনসরদের খুশি করতে দু’টো লিগ পাশাপাশি করার পক্ষে মত দিতে পারেন প্রফুল্ল। বৃহস্পতিবার সেরকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এবং যা নিয়ে তীব্র আপত্তি আছে কলকাতার দুই প্রধান-সহ আই লিগের অনেক ক্লাবের। তাদের যুক্তি, এটা হলে ভাল ফুটবলার পাওয়া যাবে না। ফেডারেশনের এক কর্তা মুম্বই থেকে ফোনে বললেন, ‘‘আই লিগের ক্লাবগুলি এক জোট হয়ে কী বলবে তার উপর নির্ভর করছে অনেককিছু। ঠিক মতো চাপ সৃষ্টি করতে না পারলে পাশাপাশি লিগ করার কথা বলে পরদিন বিদেশ চলে যাবেন প্রফুল্ল।’’ কিন্তু মজার ব্যাপার হল, ইস্টবেঙ্গল কাদের শনিবার দিল্লি পাঠাবে তা ঠিক করে ফেললেও মোহনবাগানের চার শীর্ষ কর্তার মধ্যে কে যাবেন তা জানা যায়নি। কারণ মোহনবাগান সচিব অসুস্থ। বাকি তিন শীর্ষ কর্তাই বিদেশে অথবা অন্য রাজ্যে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন।

দুই লিগ নিয়ে বিতর্কিত কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও কর্মসমিতিতে প্রাক্তন ফুটবলার অভিষেক যাদবকে নেওয়া নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। দেশে অসংখ্য নামী ও তারকা ফুটবলার থাকতে কেন কানপুরের অভিষককে নেওয়া হল দেশের নীতি নির্ধারক কমিটিতে। শোনা যাচ্ছে, পঁচিশটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ও যুব বিশ্বকাপের সিইও হওয়ার সুবাদেই অভিষেককে নেওয়ার পিছনে কাজ করেছে। ভাইচুং ভুটিয়ার মতো তিনিও ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট ও সচিব কুশল দাশের ‘ইয়েসম্যান’ বলে পরিচিত। কর্মসিমিতিতে প্রথম মেয়ে সদস্য হয়ে এলেন মহারাস্ট্রের অঞ্জলি শাহ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন