Sports News

‘মাস্ট উইন ম্যাচ’ বলছেন কাটসুমি

রাত পোহালেই তো ডার্বি। তাই ম্যাচ প্র্যাকটিসেও যেন ডার্বির ঝাঁঝ। এডু তো রক্ষণ ছেড়ে বার বার গোল করার জন্য মুখিয়ে উঠলেন। আর গোলকিপার পরাস্ত হতেই ইস্টবেঙ্গল গ্যালারিতে যেন মোহনবাগানকে গোল দেওয়ার উচ্ছ্বাস।

Advertisement

সুচরিতা সেন চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ১৭:৫১
Share:

ডার্বির আগের সকালে ইস্টবেঙ্গল মাঠে অনুশীলনে রফিকরা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

গেটের বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সমর্থক। মাঠের ভিতরে ঢুকতেই বদলে গেল পরিবেশ। পাওয়া গেল ডার্বির উত্তাপও। একটি গ্যালারির দখল নিয়েছেন যাঁরা তারা টানা দেড় ঘণ্টার ট্রেনিং সিডিউলকে মাতিয়ে রাখলেন সুরে সুরে। সঙ্গে ড্রামের দুমাদুম শব্দে সরগরম হয়ে উঠল ইস্টবেঙ্গল গ্যালারি। তা গ্যালারি থেকে নেমে ততক্ষণ পর্যন্ত ক্লাব তাঁবুতে চলল যতক্ষণ না ক্লাব ছেড়ে বাড়ির রাস্তা ধরলেন ফুটবলাররা।

Advertisement

এক সময় মোহনবাগানের হয়ে দাঁপিয়ে খেলা কাটসুমি ইউসা এখন ইস্টবেঙ্গল মাঝ মাঠের বড় ভরসা। সমর্থকদের সেলফির আবদার মিটিয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন, ‘‘ডার্বিটাই আলাদা। সেটা কোন ক্লাবের হয়ে খেলছি তাতে কিছু এসে যায় না। ওই ক্লাবের সকলেই আমার বন্ধু কিন্তু মাঠের ওই সময়টা কেউ কারও নয়।’’

সকাল ৯টায় দলবল নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছিলেন খালিদ জামিল। শীতের সকালে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে সেই চাপা উত্তেজনা নেই। নেই কোনও গরম হাওয়ায়ও। হালকা মেজাজেই চলল গার্সিয়ার ফিজিক্যাল ট্রেনিং। তার পরই দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন কোচ খালিদ। তিনটি দলে ভাগ করে শুরু হল ম্যাচ প্র্যাকটিস। অর্ণব, এডু, চুলোভা, প্রকাশদের খেলায় সেই খিদেটা স্পষ্ট চোখে পড়ল। কাটসুমিও জানিয়ে গেলেন, এই ম্যাচটা দলের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার খেলাটাই খেলব। কিন্তু অবশ্য টিমের জন্য মাস্ট উইন ম্যাচ।’’

Advertisement

আরও পড়ুন
ঘর সামলানোয় জোর দিচ্ছে চোট জর্জরিত মোহনবাগান
‘এই মোহনবাগানকেও যদি হারাতে না পারে...’

রাত পোহালেই তো ডার্বি। তাই ম্যাচ প্র্যাকটিসেও যেন ডার্বির ঝাঁঝ। এডু তো রক্ষণ ছেড়ে বার বার গোল করার জন্য মুখিয়ে উঠলেন। আর গোলকিপার পরাস্ত হতেই ইস্টবেঙ্গল গ্যালারিতে যেন মোহনবাগানকে গোল দেওয়ার উচ্ছ্বাস। কারও মধ্যে আবার সংশয়, এ ভাবে উঠে গেলে রক্ষণ ফাঁকা হয়ে যাবে। অনুশীলন শেষে এডু সোজা বেরিয়ে এলেন ক্লাবের বাইরে। গাড়িতে তখন অপেক্ষায় স্ত্রী। কিন্তু ফিরে যেতে হল কোচের ডাকে। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামার আগে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং। সে মিটিং এতটাই দীর্ঘায়িত হল যে সারা বছরের আলোচনাই সেরে ফেললেন খালিদ। হয়ত, সেই বার্তাই দিলেন কাটসুমি। বলে দিলেন, ‘‘কোনও, অজুহাত চলবে না।’’

রক্ষণে অর্ণবের সঙ্গে এডুই ইস্টবেঙ্গলের সব থেকে বড় ভরসা। চুলোভা, বাজি, আমনা, কাটসুমি, রালতেরা নিশ্চিত। রফিক না লোবো ঠিক হবে ম্যাচের আগে। প্রকাশকে শুরুতে খেলিয়ে তুলে নেবে এটাই স্বাভাবিক। বাজি খেললেন এক স্ট্রাইকারেই খেলবে ইস্টবেঙ্গল। সেই ক্ষেত্রে পরে নামতে পারেন ডুডু। আই লিগের প্রথম ম্যাচে হারতে হয়েছিল মোহনবাগানে কাছে। এ বার আই লিগের সঙ্গে যে সম্মানেরও লড়াই। কাটসুমি বলেন, ‘‘আমি পিছন ফিরে তাকাই না। তাই এটা আমার কাছে বদলার ম্যাচ নয়। তবে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।’’ ডুডু নিয়ে উচ্ছ্বসিত না হলেও আত্মবিশ্বাসীয় কাটসুমি। বলে দিলেন, ‘‘ডুডু ভাল প্লেয়ার। আমাদের রক্ষণও ভাল। উল্টোদিকে কারও না থাকা নিয়ে ভাবছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন