ইমরান খান বলছেন, ‘আজকের অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য পাকিস্তানকে অনেক অভিনন্দন।’
ডেল স্টেইনের টুইট, ‘দুরন্ত খেলল আজ পাকিস্তান। নকআউট ফর্ম্যাটে র্যাঙ্কিংটা যে বড় ব্যাপার নয়, ফের বোঝা গেল। ফাইনালটা দারুণ জমবে মনে হচ্ছে।’
শাহিদ আফ্রিদির টুইটারে প্রতিক্রিয়া, ‘টিম পাকিস্তানের জন্য আজ আমরা গর্বিত। প্রথম ম্যাচে হারের পরে কী অসাধারণ ভাবেই না ঘুরে দাঁড়াল টুর্নামেন্টে। সমালোচকরা চমকে গিয়েছে। দারুণ আনন্দ হচ্ছে।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডকে সেমিফাইনালে উড়িয়ে দেওয়ার পরে পাকিস্তানের প্রাক্তন দুই ক্রিকেটার এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারের উচ্ছ্বাসেই স্পষ্ট, সরফরাজ আমেদরা কতটা চমকে দিয়েছেন ক্রিকেট বিশ্বকে।
প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হারের পরে অনেকেই ভেবেছিলেন পাকিস্তান হয়তো সেমিফাইনালেও যেতে পারবে না। কিন্তু সমালোচকদের চমকে দেওয়াটা পাকিস্তানের জন্য নতুন নয়। ফের সেটা প্রমাণ হয়ে গেল বুধবার কার্ডিফে।
বুধবার কার্ডিফে পাকিস্তানের দাপট দেখলে কে বলবে ছবিটা ধূসর ছিল দু’বছর আগে। যে দিন এক চুলের জন্য সুযোগটা ফস্কে যেতে যেতে বেঁচে গিয়েছিল পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যোগ্যতা অর্জনের ঠিক চার দিন পরে ওয়ান ডে বিশ্বর্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে নেমে গিয়েছিল পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যোগ্যতা অর্জন করার প্রাথমিক শর্ত হল একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম আট দলের মধ্যে থাকতে হবে। পাকিস্তান যদি ৯ নম্বরে চার দিন আগে নেমে যেত তা হলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যোগ্যতা অর্জনই করা হত না।
সে দিনের সঙ্গে বৃহস্পতিবারের ছবিটা কিছুতেই মেলানো যাচ্ছিল না। কিন্তু হাসান আলি, ফকর জমানরা সেটাই করে দেখালেন। পাকিস্তানের বোলার মহম্মদ ইরফানই বোধহয় তাই পুরনো টুইটটা আবার মনে করিয়ে দিতে তাই বাধ্য হলেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ম্যাচের আগেও তিনি একই টুইট করেছিলেন। এ দিনও লিখেছেন, ‘আবার বলছি। পাকিস্তানকে কোনও ভাবেই হাল্কা ভাবে নেওয়ার ভুলটা যেন কখনও কেউ না করে।’
পাকিস্তানের উচ্ছ্বাসের আলাদা একটা কারণও রয়েছে। তাদের বোলিংয়ের অন্যতম সেরা ভরসা মহম্মদ আমির চোটের জন্য খেলতে পারেননি এই ম্যাচে। তাও পাক বোলাররা আমিরের অভাবটা বুঝতে দিলেন কোথায়! বিশেষ করে হাসান আলি। ৩৫ রানে তিন উইকেট নিয়ে তিনিই এ দিনের ম্যাচের সেরা। অধিনায়ক সরফরাজও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন হাসানকে। ‘‘দারুণ খেলেছে হাসান। আশা করছি ফাইনালেও ও এই পারফরম্যান্সটা ধরে রাখতে পারবে।’’
চমকে গিয়েছে বোধহয় ইংল্যান্ডও। তাদের অধিনায়ক অইন মর্গ্যান তো বললেন, ‘‘আমরা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। পাকিস্তান আমাদের উড়িয়ে দিয়েছে। কোনও লড়াই হয়নি। পিচটায় আগে খেলা হয়েছিল। তবে এই পর্যায়ের ক্রিকেটে সব রকমের পিচে খেলার জন্য তৈরি থাকতে হয়।’’