উদ্বোধনের আগের রাতে যুবভারতী। ছবি: শৌভিক দে।
আইপিএল উদ্বোধনের চব্বিশ ঘণ্টা আগে রাজ্য সরকার, প্রশাসনের প্রাপ্য অনুষ্ঠান-টিকিট নিয়ে অভূতপূর্ব নাটক ঘটে গেল সোমবার গোটা দিন ধরে। দফায় দফায় বৈঠক চলল, সরকার-প্রশাসনের ‘অসম্মানে’ প্রলেপ দেওয়া হল, যার জট ছাড়তে লাগল ঝাড়া ন’ঘণ্টা। শোনা যাচ্ছে, একটা সময় প্রশাসন, পুলিশ, মন্ত্রী-আমলারা অসম্মানিত হয়ে সোজাসুজি বলে দিয়েছিলেন, উদ্বোধনের প্রাপ্য টিকিট তাঁদের দরকারই নেই।
ঘটনাটা কী?
জানা যাচ্ছে, টিকিট সরবরাহের দায়িত্ব যে এজেন্সিকে দেওয়া হয়েছিল, তারা নাকি প্রথমে এক রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে সেই স্টান্স থেকে সরে আসায় যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত। আইপিএল সিইও সুন্দর রামনের কাছে ব্যাপারটা যায়। কিন্তু তিনিও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের চাহিদার গুরুত্ব বুঝতে পারেননি। যতগুলো টিকিট, যে মানের টিকিট সরকার-প্রশাসনের প্রাপ্য, তার থেকে অনেক কম এবং নিম্ন মানের টিকিট তাঁদের দেওয়ার কথা হয় বলে অভিযোগ। যা শুনে নাকি মন্ত্রী-পুলিশ-প্রশাসন বলে দেয়, তারা টিকিটই নেবে না। কারণ যে সম্মান তাঁদের প্রাপ্য, সেটা তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না। যার পর আতঙ্কই শুরু হয় যে, দেড় মাসের ওপর টুর্নামেন্ট চলবে। সেখানে যদি পুলিশ বা প্রশাসনের চূড়ান্ত সহযোগিতা না পাওয়া যায়, তা হলে সেটা টানা যাবে কী করে? যদিও ক্রীড়া দফতরের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ঘটনার কথা স্বীকার করতে চাননি। রাতে তিনি বলেন, ‘‘এ রকম কিছু হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’’
মন্ত্রী স্বীকার করতে না চাইলেও শনিবার রাত থেকে উদ্ভূত নাটক চলে এ দিন সন্ধে পর্যন্ত। সরকার-পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে তাঁদের বোঝানো শুরু হয়, আপনাদের সাহায্য ছাড়া টুর্নামেন্ট করা সম্ভব নয়। সিএবি বরাবরই প্রশাসনকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। এ বারও দেবে। শেষ পর্যন্ত বরফ গলে। প্রাপ্য টিকিট নিতে সম্মত হয় প্রশাসন। এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়, বুধবার থেকে যেহেতু টুর্নামেন্ট শুরু, তাই দর্শকরা যাতে ম্যাচ শেষে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারেন, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। রেডিও ট্যাক্সি মালিকদের সঙ্গে বসা হবে। আইপিএল-ফিরতি দর্শকদের যাতে শহরের বিভিন্ন দিকে অত রাতে ফিরতে অসুবিধে না হয়, সেটা দেখা হবে।