তারাদের-কথা: হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত থেকে প্রেসিডেন্সিয়াল পদক পরে টাইগার উড্স। ছবি এএফপি।
দেশের সর্বোচ্চ নাগরিকের পদক যখন তাঁর গলায় পরিয়ে দিচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, কী মনে হচ্ছিল গল্ফ-গ্রহের কিংবদন্তি টাইগার উড্সের?
সোমবার হোয়াইট হাউসে তাঁকে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম’ পদক তুলে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গত মাসে জীবনের ১৫ নম্বর মেজর জেতা নায়ক, ৪৩ বছরের টাইগার বলেছেন, ‘‘বিশ্বাস করুন ঠিক সেই মুহূর্তে আমার গোটা শরীরটা কাঁপছিল। অনেক চেষ্টা করেও যেন নিজেকে স্থির রাখতে পারছিলাম না। জানি না, প্রেসিডেন্টের গলায় পদক পরিয়ে দিতে কোনও অসুবিধা হচ্ছিল কি না।’’ আরও বলেছেন, ‘‘আমি কিন্তু গল্ফ কোর্সে ফেরার লড়াই সর্বক্ষণ করে গিয়েছি। আজ মনে হচ্ছে, সেই লড়াই কোনও ভাবে বৃথা যায়নি।’’
দেশের সর্বোচ্চ নাগরিকের সম্মান তুলে দিয়ে ট্রাম্পের গলাতেও শোনা গিয়েছে সেই একই সুর। তিনি বলেছেন, ‘‘আমিও কিছুটা সময় টাইগারের সঙ্গে শখের গল্ফ খেলেছি। সাফল্য ছিনিয়ে নেওয়ার যে অদম্য মনোভাব ওর মধ্যে দেখেছি, তার কোনও তুলনা চলে না। টাইগারের আরও মেজর জয়ের অপেক্ষায় আমরাও কিন্তু প্রহর গুনছি। আরও মেজর চাই।’’ অতিথি আসনে বসে থাকা টাইগারের মা কুলতিদা, দুই সন্তান স্যাম এবং চার্লি, বান্ধবী এরিকা হের্মানের চোখে তখন আনন্দাশ্রু। টাইগার যা দেখে বলেছেন, ‘‘ওরা পাশে না থাকলে আজকের এই মুহূর্ত কখনওই আসত না। আমি তোমাদের কাছেই ঋণী।’’
টাইগার যখন তুলে নিচ্ছেন দেশের সর্বোচ্চ নাগরিকের সম্মান, সেই সময়ে নিউ ইয়র্ক সিটির মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টসে ‘মেট গালা’ অনু্ষ্ঠানে দেখা গেল টেনিস জগতের দুই তারকা মারিয়া শারাপোভা এবং সেরিনা উইলিয়ামসকে। যা নিয়ে টুইটারে রুশ টেনিস-সুন্দরী লিখেছেন, ‘‘এমন একটা স্মরণীয় রাতের সাক্ষী থাকতে পেরে দারুণ আনন্দিত।’’ ছিলেন হলুদ-হাল্কা লাল গাউন পরিহিত সেরিনা উইলিয়ামস। পাশে ছিলেন স্বামী আলেক্সিস ওহানিয়ন।