কোচকে ভয় পাক ফুটবলারেরা: রুনি

ম্যান ইউয়ের ম্যানেজার এখন ওয়ে গুন্নার সোলসার। জোসে মোরিনহো বরখাস্ত হওয়ার পরে গত বছরের ডিসেম্বরে তাঁকে তত্ত্বাবধায়ক ম্যানেজার করা হয়। দায়িত্ব নেওয়ার পরে ১৯ ম্যাচের ১৪টি জিতে চমকেও দেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৯ ০৪:৩১
Share:

ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন তারকা ওয়েন রুনি। ছবি রয়টার্স।

ক্লাব ছাড়লেও এখনও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কথা ভাবেন প্রাক্তন তারকা ওয়েন রুনি। কামনা করেন, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আবার ফিরুক সোনালি দিন। তাঁর বিশ্বাস তা একমাত্র সম্ভব, যদি ফুটবলারেরা ম্যানেজারকে সমীহ করেন।

Advertisement

ম্যান ইউয়ের ম্যানেজার এখন ওয়ে গুন্নার সোলসার। জোসে মোরিনহো বরখাস্ত হওয়ার পরে গত বছরের ডিসেম্বরে তাঁকে তত্ত্বাবধায়ক ম্যানেজার করা হয়। দায়িত্ব নেওয়ার পরে ১৯ ম্যাচের ১৪টি জিতে চমকেও দেন তিনি। যে কারণে ম্যান ইউ দ্রুত তাঁকে স্থায়ী ম্যানেজার পদে নিয়োগ করে। কিন্তু তাঁর কোচিংয়ে পল পোগবারা সাফল্য ধরে রাখতে পারেননি। মরসুমের শেষ দু’সপ্তাহ খুব খারাপ খেলেছে দল। প্রিমিয়ার লিগ প্রথম চার দলের মধ্যেও শেষ করতে পারেনি। যে কারণে পরের বার তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে পারবে না।

রুনি মনে করেন, এ রকম কঠিন অবস্থা থেকেও ক্লাব পরের মরসুমে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে সম্মান করার পাশাপাশি ম্যানেজারকে ফুটবলারদের ভয়ও পেতে হবে। বক্তব্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, ফুটবলারদের ক্লাবে কাউকে একটা ভয় পাওয়া দরকার। বিশেষ করে ম্যানেজার ওয়ে গুন্নারকে (সোলসার)। একই সঙ্গে ফুটবলারেরা যেন মাইকেল ক্যারিককেও ভয় পায়। আসলে এই সমীহ করার জায়গাটাই একটা ক্লাবে এনে দেয় শৃঙ্খলা। যা বড় সাফল্যের জন্য সবচেয়ে জরুরি।’’

Advertisement

রুনির আরও বক্তব্য, ‘‘ম্যান ইউ ভাল খেলছে না দেখলে আজও খুব খারাপ লাগে। ওয়ে এসে দারুণ ভাবে শুরু করেছিল। ফুটবলারেরাও স্বাধীনতা পেয়ে ভাল খেলছিল।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘কিন্তু হঠাৎ ছবিটা অন্য রকম হয়ে গেল। মরসুমে শেষ সাত-আট ম্যাচে ওরা কিছুই করতে পারল না। জানি না কেন এ রকম হল। অনেকে বলছেন, অন্য ক্লাবের সঙ্গে অনেক ফুটবলারই কথা বলা শুরু করেছিল। যার প্রভাব খেলায় পড়েছে। কিন্তু কেন জানি না মনে হচ্ছে, এটাই কারণ নয়।’’ রুনি কিন্তু ম্যান ইউয়ের এখনকার কোচ সোলসারের সঙ্গেও খেলেছেন। খেলেছেন ক্যারিকের পাশেও। রুনির মনে হয়েছে, ফুটবলারেরা দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারে অনীহা দেখিয়েছেন। যার প্রভাব খেলায় পড়ছে। রুনির কথা, ‘‘ফুটবল খেলাটাই অন্য রকম হয়ে গিয়েছে। ফুটবলারদের দেখছি হারার পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কত কী পোস্ট করছে। কখনও নতুন পোশাক দেখাচ্ছে। কখনও বা আফটারশেভের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। আর এটা নিয়ে কেউ কিছু বললে বিপণনের লোককে দোষ দিচ্ছে। কিন্তু এ ভাবে নিজেদের লুকিয়ে রাখলে হবে না। মাঠে ও মাঠের বাইরে সমস্যার মুখোমুখি হয়ে সত্যিটা বলতে বা বোঝাতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন