শনিবারের ম্যাচে নামার কথা বললেও সনি নর্দেকে নিয়ে চিন্তা দূর হচ্ছে না মোহনবাগান সমর্থকদের।
আগামী দু’মাসে আই লিগ ছাড়াও এএফসি কাপ খেলতে হবে মোহনবাগানকে। যেখানে আক্রমণের গুরুদায়িত্বটাই সনির কাঁধে।
সনির অস্ত্রোপচার হবে কি না তা সময় বলবে। কিন্তু শুক্রবার অস্থিশল্যবিদ ডা. কল্যাণ মুখোপাধ্যায় এবং আতলেতিকো দে কলকাতার প্রাক্তন ফিজিও পুষ্পকেতু কোনারের সঙ্গে সনির চোট নিয়ে আলোচনা করে জানা যাচ্ছে— অস্ত্রোপচার হলে সনির ফিট হয়ে মাঠে নামতে তিন থেকে চার সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। যার অর্থ, চার্চিল ব্রাদার্স (৪ মার্চ), মুম্বই এফসি (৮ মার্চ) এবং বেঙ্গালুরু এফসি (১১ মার্চ)-র বিরুদ্ধে সঞ্জয়ের মোহনবাগান নাও পেতে পারে তাদের সেরা অস্ত্রকে।
বৃহস্পতিবারই জানা গিয়েছিল সনির চোট বাঁ হাঁটুর মিনিস্কাসে। ডাক্তার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় চোটের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলছেন, ‘‘এই ধরনের চোট পাওয়ার সময় দু’পা মাটিতে আটকে থাকে। হাঁটু ঘুরে (টুইস্ট) যায়। সনিরও তাই হয়েছে। এতে একাধিক জায়গায় মিনিস্কাস ছিঁড়তেও পারে।’’
ফিজিওথেরাপিস্ট ডাক্তার কোনার বলছেন, ‘‘সনি হয়তো চোট নিয়েও খেলে যাচ্ছিল। তাই ওঁর হাঁটু ফোলার সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা হচ্ছে এখন। খেলার সময় দৌড়তে, ঘুরতে, বা লাফাতে গেলে অসুবিধা হচ্ছে। এই কারণেই হয়তো মুম্বই এফসি ম্যাচে ছন্দে ছিলেন না।’’
অভিজ্ঞ চিকিৎসক কল্যাণবাবু বলছেন, ‘‘চিকিৎসা সময়মতো না হলে চোট মিনিস্কাস থেকে কার্টিলেজে চলে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার ছাড়া উপায় নেই।’’ সঙ্গে বলেন, ‘‘শনিবার মাঠে নামার আগে বরফ-সেঁক ও ফিজিওথেরাপি করে নামলে কিছুটা আরাম পাবে সনি। অস্ত্রোপচার করতে হলে অর্থোস্কোপি করে মিনিস্কাস সেলাই করে দিলেই সনি চোটমুক্ত হবে।’’
তবে অস্ত্রোপচার করেই মাঠে নামা যাবে না। ফিজিও কোনার বলছেন, ‘‘অস্ত্রোপচারের এক সপ্তাহ পর থেকে রিহ্যাব না করলে পরে আরও বড় চোট হতে পারে। বিহ্যাবে গেলেই তরতাজা সনিকে দেখতে পাবে ময়দান।’’