নাগপুরেও টার্নিং ট্র্যাক থাকছে। এ বারও যদি দক্ষিণ আফ্রিকা ভাল ব্যাট না করে, তা হলে ভারত ওদের উপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ডেল স্টেইনের ফিটনেস খুব গুরুত্বপূর্ণ। মনে হচ্ছে ম্যাচ শুরুর ঠিক আগে ওকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে টিম। মার্চান্ট ডে লাঞ্জ ওর বদলি হিসেবে এসেছে। কিন্তু স্টেইনের মতো দারুণ পেসারের জায়গা ভরাট করা কঠিন। তবে এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আমলা আর দু’প্লেসিকে কিন্তু এবি ডে’ভিলিয়ার্সকে যোগ্য সঙ্গত দিতে হবে। ওদের ব্যাটিং এবির উপর বড্ড বেশি নির্ভর করছে। টিম কম্বিনেশনও ঠিক করা দরকার। এ সব পরিবেশে ভাল করতে হলে দু’জন খাঁটি স্পিনার খুব জরুরি। ভার্নন ফিল্যান্ডারের না থাকাও ওদের ভোগাচ্ছে।
ভারতীয় দলে কোনও বদল হওয়া উচিত নয়। স্পিনাররা দুর্দান্ত ফর্মে আছে। নাগপুরের পিচে প্রচুর বাউন্স পাওয়া যাবে। অশ্বিন আর জাডেজা আবার বিপক্ষের আতঙ্ক হয়ে উঠবে। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে মনে হয় স্টুয়ার্ট বিনি না-ও খেলতে পারে। তবে ওকে যে টেস্টের দলে নেওয়া হয়েছে, সেটা খুব তৃপ্তির।
এ রকম পিচে একজন পেসারকে বসিয়ে স্পিনার খেলানোর প্রবণতাটা খুব বেশি। এই সিরিজে এখন পর্যন্ত ভারতীয় সিমারদের অবদানও দারুণ কিছু নয়। কিন্তু ওদের, বিশেষ করে বরুণ অ্যারনের উন্নতির জন্য এ সব পিচে খেলাও দরকার।
আমার সব সময় মনে হয়েছে দুই স্পিনারই যথেষ্ট। বিশেষ করে সিরিজে সব ম্যাচেই যখন এত টার্ন পাওয়া যাচ্ছে। নাগপুর পিচের বাউন্সের কথা ধরলে এতে টিমের ভারসাম্যও ঠিক থাকবে। তার উপর ভারতীয়দের পাঁচ বোলারের তত্ত্ব আর জাডেজার ব্যাটিং সাফল্য— দুটো মিলে এই কম্বিনেশন নিয়ে নামা সম্ভব।