বাংলাদেশকে হারানোর পর ভারতীয় দল। ছবি: বিসিসিআই-এর ফেসবুক থেকে।
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি ভারত। কুইন্সটনে শুক্রবার রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলেরা বাংলাদেশকে হারিয়ে দিল ১৩১ রানে। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। ৪৯.২ ওভারে ২৬৫ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। লক্ষ্যে নেমে ৪২.১ ওভারে ১৩৪ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশ।
ভারতের হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন পৃথ্বী শ ও মনজ্যোৎ কালরা। শুরুতেই অবশ্য মাত্র ৯ রান করে প্যাভেলিয়নে ফিরে যান মনজ্যোৎ। কিন্তু উল্টোদিকে ভারতের হয়ে তখন ইনিংসের হার ধরে ফেলেছেন স্বয়ং অধিনায়ক পৃথ্বী। তাঁর সঙ্গে ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরেন শুভমান গিল। তাঁর ব্যাট থেকেই আসে ভারতের ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রান। পৃথ্বী শ ৪০ রানে আউট হওয়ার পর শুভমানের সঙ্গে ব্যাট করতে আসেন হার্ভিক দেশাই। শুভমান ফেরেন ৮৬ রানে। হার্ভিক করেন ৩৪।
মাঝে রিয়ান পরাগ ১৫ রানে ফিরলে আবারও ভারতের ইনিংসের হাল ধরতে নেমে পড়েন অভিষেক শর্মা। তাঁর সংগ্রহ ৫০। এর পর আর কেউই দাঁড়াতে পারেনি। নাগারকোটি (৫), অনুকূল রয় (২), শিবম মাভি (৫), শিবা সিংহ (৩) পর পর ফিরে যান। যে কারণে পুরো ওভার ব্যাট করতে পারেনি ভারত। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট নেনকাজি ওনিক। জোড়া উইকেট নঈম হাসান ও সইফ হাসানের। একটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও রবিউল হক।
নায়ক: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৯৪ বলে ৮৬ রান শুভমানের। ছবি:টুইটার
আরও পড়ুন:
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪২.১ ওভারে ১৩৪ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ওপেনার পিনাকি ঘোষ বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন। এর পর আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আতিফ হোসেনের ১৮। বল হাতে দারুণ সফল ভারত। কমলেশ নাগারকোটি একাই নেন তিন উইকেট। দুটো করে উইকেট শিবম মাভি ও অভিষেক শর্মার। একটি উইকেট অনুকূল রায়ের। সেমিফাইনালে ভারতকে খেলতে হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।