বিতর্কিত সেই মুহূর্ত। মেসির গাড়ির সামনে বার্সা সমর্থকরা।
এল ক্লাসিকো যত এগোচ্ছে, বিতর্কের রেশ ততই বাড়ছে।
তবে এ বার কাঠগড়ায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বা রিয়াল মাদ্রিদ নয়।
বরং বার্সেলোনা ও লিও মেসি।
সমর্থকদের ইচ্ছাকে গুরুত্ব না দিয়ে নায়ক থেকে খলনায়ক হয়ে উঠলেন বার্সা রাজপুত্র।
ঘটনাটা কী? শনিবার বার্সা অনুশীলন শেষে সমর্থকরা ভিড় করেছিলেন ট্রেনিং গ্রাউন্ডের বাইরে। আব্দার ছিল, মেসির সঙ্গে সেল্ফি বা তাঁর অটোগ্রাফ। ভক্তদের প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষার পরে এলএম টেন সটান বাড়ি রওনা দিতে তাঁর কালো ক্যাডিল্যাকে ওঠেন। কোনও সই বা সেল্ফি তো দূর অস্ত। দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যান সমর্থকদের ভিড়ের মধ্যে দিয়েই। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সমর্থকদের লাফ দিয়ে পাশে সরতে হয় আঘাত এড়াতে।
ঘটনাটা ভিডিওতে ধরা পড়ায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বিতর্কের মুখে পড়তে হয় মেসিকে। বার্সা সমর্থকরা টুইট করেন, “মেসি একটু দাঁড়াতে পারলেন না। এই ওঁর সমর্থকদের প্রতি ভালবাসা।” পরিস্থিতি বুঝে রোনাল্ডোপ্রেমীরাও সুযোগের সদ্ব্যবহার করে একহাত নিয়ে পোস্ট করেন, “রোনাল্ডো তো সমর্থকদের জন্য ভবঘুরে হয়ে মাদ্রিদের রাস্তায় হেঁটে বেরিয়েছিলেন। আর মেসি তো প্রায় মেরেই ফেলছিলেন নিজের ভক্তদের।” যে সমর্থকরা অপেক্ষা করছিলেন মেসির জন্য তাঁরা হতভম্ব মহাতারকার আচরণে। এক সমর্থক বলেন, “মনে হয় অন্য কেউ গাড়িটা চালাচ্ছিলেন। মেসি এ রকম করবেন ভাবা যায় না।”
শুধু মাঠের বাইরের ঘটনাই নয়। মাঠের মধ্যে আবার ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন লুই সুয়ারেজ ও নেইমার। অনুশীলন চলাকালীন ব্রাজিলীয় ওয়ান্ডারকিডের উপর চটে গিয়ে ধাক্কা মারেন সুয়ারেজ। জবাবে কোনও হাতাহাতিতে না গিয়ে ঝামেলা ওখানেই মিটিয়ে দিতে চান নেইমার। কিন্তু গোটা অনুশীলনে দু’জনে আর একটিও কথা বলেননি একে অপরের সঙ্গে। কিছু দিন আগেই সুয়ারেজের গোলখরা চলার সময় নেইমার বলেছিলেন, “আমি সুয়ারেজকে কোনও সাহায্য করতে পারব না এ ব্যাপারে। ওকে নিজের থেকেই ফর্মে ফিরতে হবে।” নতুন ঘটনার পরে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, ঠিক কতটা ভাল দুই তারকার সম্পর্ক?
যে নেইমারকে নিয়ে সুয়ারেজের এত রাগ, তাঁর ব্যাপারে স্প্যানিশ আদালতও চটে আছে। বার্সার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, নেইমারকে খাতায় কলমে ৫৩ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে সই করানো হলেও আসলে মহাতারকার দাম ওঠে ৮৩ মিলিয়ন পাউন্ড। কর ফাঁকি দিতে নাকি বাকি অর্থের হিসাব নেইমারের চুক্তিতে রাখেনি বার্সা। এ দিন সেই অভিযোগে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন বার্সা প্রেসিডেন্ট জোসেফ বার্তেমিউ। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ক্লাবের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সান্দ্রো রোসেল-ও। যদিও সব অস্বীকার করে বার্সা ক্লাবের ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়েছে, ‘আমরা কোনও দোষ করিনি। ঠিক পদ্ধতিতেই নেইমারকে সই করানো হয়েছিল।’