শেষকৃত্য: চিরবিশ্রামে বন্ধু। কবর খুঁড়ছেন ইউসেইন বোল্ট। ছবি: রয়টার্স
গাঁইতিটা একবার উঠছে, একবার নামছে। শরীরের উপরাংশটা অনাবৃত। চোখটা তখনও ভিজে।
ইউসেইন বোল্ট কাঁদছেন। ইউসেইন বোল্ট কবর খুঁড়ছেন। ইউসেইন বোল্ট বিদায় জানাচ্ছেন তাঁর প্রিয়তম বন্ধুকে।
গত ২০ এপ্রিল এক পার্টি থেকে ফেরার পথে জামাইকায় বাইক দুর্ঘটনায় মারা যান অলিম্পিক্স রুপোজয়ী হাইজাম্পার জার্মেইন মেসন। জামাইকার হয়ে পদক জিতলেও পরে তিনি গ্রেট ব্রিটেনে চলে যান। রবিবার জার্মেইনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। যেখানে শোকস্তব্ধ বোল্টকে দেখা যায় কেঁদে ফেলতে। এর পর বন্ধুর কফিন-বাহক হিসেবে দেখা যায় তাঁকে। তার আগে পোর্টল্যান্ডে বন্ধুর জন্য কবর খুঁড়ে ছিলেন তিনি।
আবেগে কখনও মুখোশের আড়ালে লুকোতে দেখা যায়নি বোল্টকে। কিন্তু এ ভাবে কাঁদতে বোধহয় কোনও দিন কেউ দেখেনি এই কিংবদন্তি অ্যাথলিটকে। রবিবার যা দেখা গেল।
অভিশপ্ত ২০ এপ্রিলের রাতে পার্টি থেকে তাঁর সুপারবাইকে চড়ে ফেরার পথে কিংস্টনে দুর্ঘটনায় পড়েন বেজিং অলিম্পিক্সে রুপোজয়ী জার্মেইন। উল্টো দিক থেকে আসা গাড়িকে এড়াতে গিয়ে বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন জার্মেইন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সবার আগে সেখানে হাজির হয়েছিলেন বোল্ট। জার্মেইনকে চির বিদায় জানাতে এসেছিলেন আসাফা পাওয়েল থেকে শুরু করে নেস্তা কার্টাররা।
জার্মেইনের সঙ্গে বোল্টের বন্ধুত্ব অনেক দিনের। ৩৪ বছর বয়সি এই অ্যাথলিট জামাইকা থেকে চলে যান গ্রেট ব্রিটেনে। যে দেশের হয়ে তিনি অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করেন। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে বোল্টের সঙ্গে কোনও ‘এক গোপন প্রোজেক্টে’ কাজ করছিলেন জার্মেইন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেই প্রোজেক্ট আর শেষ করা হল না তাঁদের।