মুশকিলে উসেইন বোল্ট। ফিরিয়ে দিতে হতে পারে ২০০৮-এর বেজিং অলিম্পিকের স্বর্ণপদক। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বেজিং অলিম্পিকে ৪০০ মিটার রিলে রেসে তাঁর সঙ্গী নেস্তা কার্টারের রক্তের ‘এ’ স্যাম্পলে মিথাইলহোক্সানামিন নামে নিষিদ্ধ বস্তু পাওয়া গিয়েছে। যদি তাঁর রক্তের ‘বি’ স্যাম্পলে ওই নিষিদ্ধ বস্তুটি পাওয়া যায় তাহলে তাঁর উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসতে পারে। বেজিং অলিম্পিকে ৪০০ মিটার রেসে বোল্ট, কার্টার, মাইকেল ফ্রেটার এবং আসাফা পাওয়েল বিশ্বরেকর্ড করেন। যদিও এ বিষয়ে কার্টারের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জামাইকার অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রেসিডেন্ট মাইকেল ফেনেলও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।
২০০৪-এ ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ডব্লিউএডিএ) মিথাইলহোক্সানামিন-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ফের ২০১১-য় ‘স্পেসিফায়েড সাবস্টেন্স’ হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় ২০০২-এর লন্ডন অলিম্পিক এবং ২০০৮-এর বেজিং অলিম্পিকের প্রতিযোগীদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করবে। কমিটির মতে, এর আগে রক্তের নমুনা পরীক্ষার পদ্ধতি খুব একটা উচ্চমানের ছিল না। ফলে রক্তের নমুনায় নিষিদ্ধ ড্রাগ থাকা সত্ত্বেও তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধরা পড়ত না। এখন অনেক বেশি আধুনিক হয়েছে পরীক্ষা পদ্ধতি।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট থমাস ব্যাক এ প্রসঙ্গে বলেন, “রিও অলিম্পিক থেকে ডোপারদের দূরে রাখাই একমাত্র লক্ষ্য। এ কারণেই ফের রক্তের নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিও গঠন করা হয়েছে যারা এই বিষয়টি দেখবেন।”
আরও খবর...