আইপিএল সাত-এ তাঁর দল শেষ করেছিল আট দলের মধ্যে সাত নম্বরে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে দলের পারফরম্যান্স আরও উন্নত করার চেষ্টায় অ্যাডাম মিলনে, ডেভিড ওয়েইসের বোলিং আক্রমণের ধার বাড়াতে অস্ট্রেলীয় পেসার শন অ্যাবটকেও সই করানো হয়েছে এ বার। কিন্তু আইপিএল আট শুরুর আগে তাঁর টিম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পেস বোলিং বিভাগ খুব একটা সুবিধের মনে হচ্ছে না। একে তো হাঁটুর চোটে তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে বিশ্বকাপের সেরা বোলার মিচেল স্টার্ক। তার উপর মিলনেরও চোট। নিউজিল্যান্ড পেসারের চোটের কী পরিস্থিতি, সে ব্যাপারে এখনও কিছু স্পষ্ট নয়। এই অবস্থায় চাপে বেঙ্গালুরুর বোলিং বিভাগ। তবে এই পরিস্থিতিকেও চাপ বাড়া হিসেবে ভাবতে রাজি নন, বরং দায়িত্ব বাড়ল এ ভাবে দেখতে চাইছেন তিনি— বরুণ অ্যারন।
গত বছর বরুণ আইপিএলে ১৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। তবে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাননি। বরুণ, দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েইসের পাশাপাশি বাংলার অশোক দিন্দা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডারেন স্যামির উপরও অতিরিক্ত চাপ থাকবে আইপিএলে আরসিবি বোলিং বিভাগ সামলানোর। বরুণ অবশ্য বলছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত কোনও চাপ অনুভব করছি না। ওদের দু’জন না থাকায় আমাদের উপর বাড়তি দায়িত্ব চাপল। আমি ব্যাপারটাকে এ ভাবেই দেখছি।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘মাঠে নামার পর এই দায়িত্বটাই মোটিভেশনের কাজ করে। আমাদের যেটা আরও ভাল খেলতে উদ্বুদ্ধ করবে।’’
কিন্তু সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়ার হতাশাটা আবার প্রভাব ফেলবে না তো? আশঙ্কাটা উড়িয়ে বরুণ বলেন, ‘‘আমি সেটা নিয়ে এখন কিছু আর ভাবছি না। বিশ্বকাপে সুযোগ না পেলে যে কেউই হতাশ হবে। তবে তার জন্য শুধু নিজেকেই দোষ দিচ্ছি।’’ চলতি মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফর্মে থাকার ইঙ্গিত স্পষ্ট বরুণের পারফরম্যান্সে। গত চার ঘরোয়া ম্যাচেই ১৯ উইকেট তুলে নিয়েছেন। যার মধ্যে ইরানি ট্রফিতে অবশিষ্ট ভারতের বিরুদ্ধে কেরিয়ার সেরা ৬৩ রানে ছ’উইকেট তুলে নেওয়ার মতো পারফরম্যান্সও রয়েছে। তাঁর রাজ্য দল কর্নাটকের ম্যাচটা জেতার পাশাপাশি তাঁর প্রতি সেশনে গড়ে ঘণ্টায় ১৪০ কিমির বোলিংও নজরে পড়েছে।
সেই ফর্মের ঝাঁঝটাই আইপিএলে আনতে চান তিনি।