Vece Paes Death

প্রয়াত প্রাক্তন হকি অলিম্পিয়ান ভেস পেজ, পিতৃহারা লিয়েন্ডার

ভেসের মৃত‍্যুর সময় লিয়েন্ডার তাঁর পাশেই ছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ভেস। বাড়িতেই বাবার চিকিৎসার যাবতীয় ব‍্যবস্থা করেছিলেন লিয়েন্ডার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৫ ০৯:২৬
Share:

প্রয়াত ভেস পেজ। —ছবি : সংগৃহীত

প্রয়াত হলেন ভেস পেজ। ভারতের এই প্রাক্তন হকি অলিম্পিয়ানের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি ভারতের টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজের বাবা। হকি দলের হয়ে ব্রোঞ্জ জেতা ছাড়াও স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগে বিশেষজ্ঞ ছিলেন ভেস।

Advertisement

১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিক্সে ভারত ব্রোঞ্জ জিতেছিল। সেই দলের সদস‍্য ছিলেন ভেস। তার আগের বছর বার্সেলোনায় হকি বিশ্বকাপেও দেশের হয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন তিনি।

ভেসের মৃত‍্যুর সময় লিয়েন্ডার তাঁর পাশেই ছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ভেস। বাড়িতেই বাবার চিকিৎসার যাবতীয় ব‍্যবস্থা করেছিলেন লিয়েন্ডার। বুধবার থেকে শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সন্ধ্যাতেই চলে আসেন লিয়েন্ডার। চিকিৎসকেরা হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু শেষরক্ষা করা যায়নি। বৃহস্পতিবার ভোর ৩টের সময় শেষ নিঃশ্বাস ত‍্যাগ করেন ভেস। তাঁর প্রয়াণে শোকবার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “ভারতীয় ক্রীড়াজগতের অন্যতম কিংবদন্তি ভেস পেজের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। খেলাধুলোয় তাঁর অবদান অপরিসীম, যা চিরকাল মানুষ মনে রাখবেন। আমি লিয়েন্ডার পেজ-সহ তাঁর সকল পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব ও অসংখ্য অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”

Advertisement

১৯৪৫-এ গোয়ায় জন্ম হয় ভেসের। একাধিক খেলাধুলার পাশাপাশি পড়াশোনাতেও ভাল ছিলেন তিনি। ভারতের হকি দলে তিনি মিডফিল্ডার হিসাবে খেলতেন। হকি ছাড়াও ক্রিকেট, ফুটবল এবং রাগবিতে তাঁর পারদর্শিতা ছিল। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০২ পর্যন্ত ভারতের রাগবি ইউনিয়নের সভাপতি হিসাবে কাজ করেছেন।

কলকাতায় মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ভেস। খেলাধুলোর প্রতি ভালবাসা থাকায় স্পোর্টস মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করেন। এই বিভাগে বিশ্ব জুড়ে তাঁর কাজ প্রশংসিত হয়েছে। তিনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এবং বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কাজ করেছেন। ডোপিং-বিরোধী কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য অবদান নিয়েছে। ডোপিংয়ের খারাপ দিক নিয়ে ক্রীড়াবিদদের শিক্ষিত করার কাজ ছিল তাঁর।

চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা এবং খেলাধুলোর প্রতি ভালবাসা থাকায় ক্রীড়াবিদেরা ঠিক কী ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়েন, তা ভাল বুঝতে পারতেন ভেস। স্পোর্টস মেডিসিনে তাঁর বিভিন্ন কাজকর্ম ভারতের খেলাধুলার উন্নতিতে প্রভূত সাহায্য করেছে।

লিয়েন্ডার নিজের টেনিসজীবনের বারংবার বাবার অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন। জানিয়েছেন, কী ভাবে বাবার পরামর্শ পেয়ে অনেক সমস্যার মোকাবিলা করেছেন তিনি। লিয়েন্ডারের টেনিসে আসাও বাবাকে দেখেই। তিনি ফুটবল খেলতে ভালবাসতেন। ফুটবলার হতেই চেয়েছিলেন। কিন্তু অলিম্পিক্সে ফুটবলার হিসাবে দেশের পতাকা ওড়ানোর সুযোগ ছিল না। তাই তিনি টেনিস বেছে নেন। ১৯৯৬-এ অলিম্পিক্স সিঙ্গলসে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন লিয়েন্ডার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement